জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাণঘাতি করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ৯৫জনের মৃত্যুর ঘবর দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২২ জন ও ষার্টোর্ধ্ব ৫৭ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্টগ্রামে ১৭ জন, রাজশাহীতে আটজন, খুলনায় তিনজন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন, রংপুর বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। এখনও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকায়। আর আক্রান্তের দিক থেকে তরুণরা বেশি হলেও মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে বয়স্করাই। অর্থাৎ বয়সে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই মৃত্যু বেশি হওয়ায় কথা বলছেন দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাই ৭৬ বছরর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত নিয়ে উদ্বেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। বয়সের কারণে তিনি যে উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিতে আছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শুভান্যুধ্যায়ীদের এ নিয়ে কৌতুহলের যেন শেষ নেই। তেমনি সবার কপালে যেন উদ্বেগের ছাপ। আছে উৎকণ্ঠাও। কোন না কোন মাধ্যমে তাঁর খবর নেয়ার চেষ্টা করেন অনেকের। বেশিরভাগ মানুষের খবর নেয়ার একমাত্র উৎস গণমাধ্যম।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারা অন্তরীণ অবস্থায় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকেই তিনি করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১৪তম দিন বুধবার। তিনি অনেকটা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর বিএনপির চিকিৎসব নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে গত প্রায় ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তার শরীরে কোনো জ্বর আসেনি। আমাদের চিকিৎসক টিমের প্রফেসর ডা. সিদ্দিকী সাহেবও বলেছিলেন, চলমান ৪৮ ঘণ্টা খুবই ক্রুশিয়াল। অর্থাৎ বুধবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের ক্রুশিয়াল টাইম। এ অবস্থায় আজকে পর্যন্ত তার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন খুবই ভালো আছে। খাবার রুচি আগের মতই আছে। কাশি, গলাব্যথা কখনোই ছিল না, সেটি এখনও নেই। উনি অন্যদিনের চেয়ে অনেকটা ভালো বোধ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ অবস্থায় উনার চিকিৎসা যা চলছে সেটাই চলবে। আজ বুধবার পার হওয়ার পর আবার মেডিক্যাল বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী করণীয় ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, করোনা আক্রান্ত হলে চার সপ্তাহের মধ্যে টিকা দেয়া যায় না। উনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। আর এই মাসটা পুরোটাই সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে। কারণ আপনারা জানেন অনেক করোনা রোগীর কিন্তু দুই সপ্তাহে নেগেটিভ হয় না। চার সপ্তাহ লাগে। ওনার চেয়ে যাদের বয়স কম তাদেরও এ ধরনের ঘটে। সুতরাং চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।