আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ জগতে প্রতিদিনই নানা ধরণের অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে। বিজ্ঞানের ভাষায় যার ব্যাখ্যা চলে না। ঠিক সেরকমই একজন নারী দাবি করেছেন যে তিনি মাসে তিনবার মারা যান এবং মৃত্যুর পর বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে দেখা করেন। বছর ৫৭ এর বেভারলি গিলমোর ২০ বছর বয়সে মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছিলেন, তারপর থেকেই মৃতদের সাথে তাঁর অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন। গিলমোর, যিনি প্রতি মাসে প্রায় তিনবার উদ্ভট অভিজ্ঞতার শিকার হন, ইতিমধ্যেই যীশু এবং ওয়াল্ট ডিজনির সাথে দেখা করার অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করে ফেলেছেন।
গিলমোর বলেছিলেন যে ১৯৮০ এর দশকে প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে যীশুখ্রিস্টের সাথে তাঁর “ব্যক্তিগত সম্পর্ক” গড়ে উঠেছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে চিকিত্সকরা তাকে disorder of consciousness বা চেতনার ব্যাধিতে আক্রান্ত বলে মনে করছেন, এটি এমন একটি পর্যায় যা সাধারণত কোমায় থাকা লোকেদের জন্য ব্যবহৃত হয়। গিলমোর দাবি করেছেন যে এই অভিজ্ঞতা যখন হয় তখন তিনি অনুভব করেন তাঁর হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং তার শরীর ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করতে শুরু করেছে। মৃত ব্যক্তির সাথে দেখা করার আগে তিনি নিজেকে শারীরিকভাবে দুর্বল বলে মনে করেন।
গিলমোর ডেইলি মেইলকে বলেন, “আমি যীশুর সাথে দেখা করেছি। আমি ট্রান্সে গিয়ে এবিষয়েন লিখতে শুরু করব।”ওয়াল্ট ডিজনির সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে কথা বলার সময়, স্বঘোষিত এই আধ্যাত্মবাদী বলেন, “তিনি গল্পগুলি আমাকে দেখিয়েছিলেন যখন আমি তার সাথে দেখা করি। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম।
তাঁর গল্পে আমারও স্থান রয়েছে।” তিন সন্তানের এই জননী তার মৃত বাবা-মায়ের সাথেও নাকি দেখা করেছেন। তার বাবার সাথে একটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে গিলমোর বলেন, ” মৃত্যুর পর প্রথমবার যখন আমি তার সাথে দেখা করি তখন তার চেহারা ছিল ৫২ বছরের বৃদ্ধের মতো। দ্বিতীয়বার যখন আমি তার সাথে দেখা করি তখন তার বয়স প্রায় ৩০। বাবাকে খুব খুশি এবং উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।”বেলজিয়ামের লিজে ইউনিভার্সিটির কোমা সায়েন্স গ্রুপের গবেষকরা গিলমোরের অবস্থা আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন।
সূত্র : টাইমস নাও
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।