আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তাণ্ডব কিছুতেই যেন থামছে না। অথচ করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এখনও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া আর সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও বলছেন তারা। খুব দরকারে বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।
অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসব নির্দেশনার বিপক্ষে নেমেছেন যুক্তরাজ্যের একদল মানুষ। মাস্ক না পরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
যুক্তরাজ্যে কোনও শপিংমলে ঢুকতে হলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে যারা প্রচারণায় নেমেছেন সেই বিরোধীরা বলছেন ভিন্ন কথা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, মাস্ক মানুষকে অক্সিজেন গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে পারে। এ কারণে শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
বিবিসি বলছে, টুইটারে একদল মাস্ক পরার বিরোধিতায় নেমেছেন # নো মাস্ক এবং #মুসলেস লিখে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। এ নিয়ে নানা মিমও শেয়ার করছেন মাস্ক পরার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনও তাদের এ দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ পাননি। তারা বলছেন, সঠিকভাবে মাস্ক পরলে কারো কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মেডিকেল মাস্ক দীর্ঘ সময় ধরে পরে থাকলেও কারো অক্সিজেনের ঘাটতি হয় না।
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধ যতো শিথিল করা হচ্ছে, মুখে মাস্ক পরার উপর ততোই জোর দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে এটা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে।
কোন দেশের মানুষ মাস্ক পরতে কতোটা আগ্রহী সে বিষয়ে ইউগভ একটি জরিপ চালিয়েছে। দেশে দেশে এই আগ্রহের তারতম্য সত্যিই বিস্ময়কর।
ব্রিটেনে মাত্র ৩৬% মানুষ বলছে ঘরের বাইরে গেলে তারা মাস্ক পরেন। কিন্তু ফ্রান্সে তাদের সংখ্যা ৭৮%।
মাস্ক পরতে সবচেয়ে কম আগ্রহী নরডিক দেশগুলোর লোকেরা। ডেনমার্কে ৪%, সুইডেনে ৬%, ফিনল্যান্ডে ৭%।
কিন্তু এশিয়ার দেশগুলোতে মাস্ক পরার হার সবচেয়ে বেশি। ভিয়েতনামে ৭৪%, চীনে ৮২% এবং সিঙ্গাপুরে ৯০%।
হংকংয়ে নতুন করে জারি করা নিয়মে গণপরিবহনে মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক, না পরলে ৫ হাজার হংকং ডলার জরিমানা।
এদিকে, গত কিছুদিন ধরে মাস্ক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুক্তরাজ্যের বরিস জনসন জনসম্মুখে মাস্ক পরে এসেছেন। এর আগে মাস্ক নিয়ে নানা তাচ্ছিল্য করেছেন ট্রাম্প।
শুরুতে ব্রিটেন সরকারও মাস্ক নিয়ে খুব একটা পরোয়া না করলেও এখন ব্রিটেন ঘোষণা দিয়েছে ২৪শে জুলাই থেকে সব দোকানে মাস্ক থাকা চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



