জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে বৈঠকে মিলিত হন।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মন্ত্রী মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের স্থগিত থাকা শ্রমবাজার দ্রুত খুলে দেয়া এবং সে দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার মন্ত্রী ইমরান আহমদের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল কুয়ালালামপুরের পার্লামেন্ট ভবনে দেশটির মানব সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী এম. কুলাসেগারানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দু’দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শ্রম অভিবাসন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে দেশটিতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে ২৪ বা ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। ওই সময় নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আরও কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
উভয় দেশের মন্ত্রী নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে মানসম্মত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এছাড়া অবৈধ নিয়োগের অপচেষ্টা রোধে কঠোর অবস্থানের কথাও জানান।
বৈঠকে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে
>> উভয় দেশের যৌথ ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় অভিবাসন ব্যয় একটি গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে আনা।
>> কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে উভয় দেশের সরকার এবং নিয়োগ সংস্থার অংশগ্রহণে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণ।
>> সক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা ও দক্ষতার মানদণ্ড বজায় রেখে নিয়োগ এজেন্সিগুলোকে প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও অভিবাসন ব্যয় কম রাখতে উৎসাহিত করা।
>> সমস্ত ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করে সুরক্ষিত, সর্বজনীন ও একীভূত অনলাইন সিস্টেম চালু করা। এতে উভয় সরকারের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।
এছাড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সঞ্চয় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে মতবিনিময়; স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার উত্থাপিত ব্যয় সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্তের জন্য বৈঠকে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়ায় গিয়ে বৈঠক করলেও শ্রমবাজার চালু করা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নতুন করে কর্মী নেয়ার কিছু পদ্ধতি ঠিক করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বিএমইটির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ ও কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।