বিনোদন ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালি মেয়েদের শাড়িতেই সবথেকে বেশি অপরূপা লাগে। চিত্রনায়িকা মিমি চক্রবর্তীকে (mimi chakraborty) দেখে বোঝা যায় যে কথাটা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। টলিউড ডিভা মিমির সৌন্দর্যের চর্চা এমনিতেই নেটমাধ্যমে জুড়ে। তবে শাড়িতে তাঁর স্নিগ্ধ রূপ দেখে চোখ ফেরাতে পারছেন না অঙ্কুশ হাজরাও।
মায়ের শাড়িতে সেজেছেন মিমি। লাল পাড়, গাঢ় নীল শাড়ির উপরে সাদা কলকার কাজ। সঙ্গে নীল ব্লাউজ দিয়ে ছিমছাম সাজ মিমির। একটি ছবিতে আবার তাঁর চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। ক্যাপশনে মিমি লিখেছেন, ‘মায়ের কলেজের শাড়ি, সেই যখন জলপাইগুড়ি গিয়েছিলাম নিয়ে এসেছিলাম। নতুন পাড় বসালাম, ব্লাউজটা একটু চাপালাম। আর পরলাম। মনটা ভাল হয়ে গেল, মা ছবিটা দেখে বলল।’
কমেন্ট বক্সে প্রশংসার বন্যা। মিমির ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্নো মিত্র লিখেছেন, ‘মিষ্টি’। অঙ্কুশ যথারীতি খুনসুটির সুরে লিখেছেন, ‘মনে পাথর রেখে বলছি, খুউব সুন্দর লাগছে।’ পালটা মিমি উত্তর দিয়েছেন, ‘এটা বলার পর মরে যাস না!’ বঙ্গ নারীকে দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। মেকআপ ছাড়া এত সাদামাটা সাজেও মিমিকে অপূর্ব দেখাচ্ছে, জানিয়েছেন অনুরাগীরা।
অনেকেই জানেন, মিমির আদি বাড়ি জলপাইগুড়িতে। সেখানেই থাকেন তাঁর মা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা। শুধু কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকেন মিমি। তবে সুযোগ পেলেই টুক করে নিজের শহরে ঘুরে আসেন তিনি। আর মিমি জলপাইগুড়ি যাওয়া মানেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, ভিডিওর বন্যা। মিমির সঙ্গে সঙ্গে নেটনাগরিকরাও উপভোগ করেন সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
বছরের শুরুতেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি একবারের জন্যও বাইরে বেরোননি। জনবহুল এলাকায় যাওয়া তো দূরের কথা। তবুও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিন্তায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমি লিখেছিলেন, ‘আমি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি না বাড়ির বাইরে গিয়েছি আর না কোনো সভা সমাবেশ করেছি। করোনা আমাকে বেশ বাজে ভাবে আক্রমণ করেছে। আমি চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো চলছি এবং নিজেকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রেখেছি। আমি সকলকে অনুরোধ করব সঠিক ভাবে বিধি নিষেধ মানতে এবং কোনো ঝুঁকি না নিয়ে সব সময় মাস্ক পরতে। সকলে সুস্থ থাকুন।’
তবে এখন অবশ্য সুস্থ আছেন মিমি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।