জুমবাংলা ডেস্ক: ‘মা’- এই একটি ছোট্ট শব্দে কি এক রহস্য আছে যেন! পৃথিবীর সকল শান্তি, তৃপ্তি, বিশ্বাস, আস্থা আর নির্ভরতার আধার হলেন মা। মায়ের ঋণ পরিশোধ করবার ক্ষমতা কারও নেই, হবেও না কোনোদিন।
পৃথিবীর প্রতিটি মা দীর্ঘ সময় গর্ভে ধারণ করে, অসহ্য প্রসব বেদনা সহ্য করে পৃথিবীর আলোতে আনেন তার সন্তানকে। আর সে যদি হয় মেয়ে সন্তান সেই মা-সন্তানের সম্পর্কে তৈরি হয় অন্যরকম অদৃশ্য এক বন্ধন। মেয়ের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছেন তার মা। আর সেই মা যদি কিছু হুজুগে জনগণের কাছে প্রাণ হারান, তাহলে সেই মেয়েকে শান্তনা দিবে কে?
গত ২১ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে ভর্তির জন্য স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপি*টুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। রেনুর চার বছরের মেয়ে তুবা অপেক্ষা করছিলো মায়ের জন্য। তার মা ফিরে আসবে সে অপেক্ষায় বসে আছে শিশু তুবা।
মায়ের মৃ*ত্যুর পর রেনুর ছোট্ট মেয়ে তাসমিন তুবা থাকে রাজধানীর মহাখালীতে খালার বাসায়। আজ রবিবার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় তার।
এ সময় ‘আমার তো লেখাপড়া হবে না। মার জন্য আমার বুক ব্যথা করে, জ্বর আসে।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিল ছেলেধরা গু’জব ছড়িয়ে হ*ত্যার শিকার রেনুর ছোট্ট মেয়ে তুবা।
তুবার ভাই তাহসিন আল মাহির সব সময়ের খেলার সঙ্গী তার। দুজন এক সঙ্গেই থাকে সারাক্ষণ। খেলার ছলে এক সময় মাহির তুবার কাছে প্রশ্ন করে বলে, ‘মা (তাসলিমা বেগম রেনু) তোমার জন্য কী নিয়ে আসবে?’
তখন তুবার উত্তর, ‘মা আমার জন্য জুস আনবে।’
ঘণ্টা খানেক পর মাহির তুবাকে আবার একই প্রশ্ন করে। তখন তুবা বলে, ‘মা বাইরে গেছে। আমার জন্য জামা নিয়ে আসবে।’
একটু পরে তুবার খালাতো ভাই সৈয়দ নাসিরউদ্দিন টিটু কম্পিউটার খুলেই তুবার কাছে জানতে চান, ‘তুবা, তোমার আম্মু কোথায়?’
এই প্রশ্ন শেষ হতেই তুবা বলে ওঠে, ‘আম্মু কম্পিউটারে!’
এ কথা বলার কারণ টিটুর কম্পিউটারের স্ক্রিনে ছিল রেনুর ছবি।
তখন নাসিরদ্দিন টিটু বলেন, ‘তুবা ছোট বলে অনেক কিছুই বলতে পারে না। তবে মাঝেমধ্যে তুবাকে দেখে মনে হয় ওর কলিজাটা পুড়ে যাচ্ছে। ভেতরে উলট-পালট করছে। এটা আমরা বুঝি। সেজন্য আমরা তাকে তার মায়ের ব্যাপারে কিছুই বলি না। তবে মা তো, সে (তুবা) এখন অনেক কিছুই অনুভব করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।