জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী এলাকায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেনটি থামিয়ে সাজিদ হোসেন নামে এক কিশোর বাঁচালো শতশত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ। সেই সঙ্গে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল কোটি কোটি টাকার মূল্যের ট্রেনটি। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাগুরী গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও সহিদা বেগমের ছেলে সাজিদ হোসেন, পাঁচবিবি উপজেলার একটি বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
একই গ্রামের রেজাউল করিম, সজিব, মোজাম্মেল হকসহ এলাবাসীরা জানান, সাজিদের মা সহিদা বেগম বাড়ির পার্শ্ববর্তী রেললাইন পারাপার হচ্ছিলেন।
এ সময় তিনি একটি রেললাইনে ফাটল দেখে সঙ্গে সঙ্গে লাঠিতে লাল গেঞ্জি লাগিয়ে ছেলে সাজিদকে তা উড়াতে বলেন। পরে সাজিদ লাল গেঞ্জি উড়িয়ে থামিয়ে দেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনটিকে। এতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেনে থাকা শতশত যাত্রী। এই মহৎ কাজে সাজিদকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। সেই সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ ব্যবস্থারও আধুনিকীকরণের দাবি করেন স্থানীয়রা।
সাজিদ হোসেন বলেন, মায়ের নির্দেশে যাত্রীদের প্রাণ ও ট্রেন বাঁচাতেই লাল গেঞ্জি নিয়ে রেল লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, ট্রেন আসা দেখে লাঠিতে লাগানো ওই লাল গেঞ্জি উড়ালে যখন ট্রেন থামল, তখন ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম।
তারপর যখন ট্রেনযাত্রী, ট্রেনচালক ও এলাকার অনেক মানুষ এসে খুব শাবাশ দিল, তখন কি যে ভালো লাগল তা আর বলে বুঝাতে পারব না। সব চেয়ে বড় কথা, দুর্ঘটনার হাত থেকে শতশত যাত্রীসহ ট্রেনটিকে রক্ষা করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।
রেললাইন মেরামত কর্মচারী হোসেন বলেন, সাজিদের ট্রেন থামানোর পর অফিস কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে রেললাইনের ফাটল জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, লাল গেঞ্জি উড়িয়ে সাজিদ ট্রেন থামানোর কারণে একটি মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেল। রেল বিভাগের পক্ষ থেকে কিশোর সাজিদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।