আটককৃতরা হলেন, মো. এখলাছ হোসেন শেখ (২৮), সহযোগী সিধু মন্ডল (১৮) ও অপহরণ কাজে ব্যাবহৃত প্রাইভোট কারটির ড্রাইভার মো. নুরুজ্জামান হাওলাদার (৩৭)।
ছাত্রীর বাবা জানান, বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়া পথে বিভিন্ন সময় স্থানীয় খলিল শেখের ছেলে এখলাছ তারে মেয়েকে প্রেমের জন্য উত্যক্ত করে আসছে। সে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় অপহরণসহ হুমকী দেয়া হয়।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মা-মেয়ে মামাবাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য শ্রীরামকাঠী পৌঁছেন। এ সময় শ্রীরামকাঠীর বকুলতাল পৌঁছলে এখলাছ ও তার ২ সহযোগী মায়ের সামনে থেকে মেয়েকে মুখ চেপে ধরে একটি প্রাইভেটকারে তোলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাওলাদার জানান, অপহরণ করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রীর মা চিৎকার দিলে আমিসহ কয়েকজন সেখানে এগিয়ে যাই। পরে উপজেলার কালিবাড়িতে থাকা লোকজনকে ফোন দেই।
কালিবাড়ি থাকা উপজেলা প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান তুহিন জানান, শ্রীরামকাঠী থেকে যুবলীগ নেতা ফারুক হাওলাদারের পাওয়া ফোনের প্রেক্ষিতে আমরা ৬/৭ জনে সেখানে (কালিবাড়ি) ওই প্রাইভেটকারটির জন্য রাস্তার ওপর দাঁড়াই। পরে গাড়িটি আসলে তার গতিরোধ করে কলেজছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করি।
এ সময় অপহরনকারী এখলাছ শেখ, গাড়ির ড্রাইভার সদর উপজেলার উত্তর শিকারপুর গ্রামের ফারুক হাওলাদারের পুত্র মো. নুরুজ্জামান হাওলাদার (৩৭) ও অপহরণকারী এখলাছের এক সহযোগী উপজেলার ভীমকাঠী গ্রামের বিমল মন্ডলের পুত্র সিধু মন্ডলকে (১৮) আটক করে থানা পুলিশে দেই।
পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, অপহরনকারীসহ আটককৃতরা থানায় আছে। তবে এ ব্যাপারে এখানো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।