দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় এবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বিমান বাহিনী আকাশপথে বিশেষ নজরদারি অভিযান শুরু করেছে। লক্ষ্য— অবৈধ জাটকা শিকার বন্ধ এবং জেলেদের গতিবিধি শনাক্ত করা।
ইতোমধ্যেই বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার নদীপথে চলাচলরত বেশ কয়েকটি ট্রলার ও জেলেদের কার্যক্রম শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
রাত নামতেই মেঘনা নদীর আকাশে চক্কর দেয় নজরদারি হেলিকপ্টার। একই সঙ্গে দেশের তিন প্রধান নদী— মেঘনা, পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ—এর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলছে এই অভিযান।
মা ইলিশ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি ও শক্তিশালী সার্চলাইট। আকাশ থেকে সন্দেহজনক কোনো ট্রলার বা জেলেদের উপস্থিতি শনাক্ত হলেই রেডিও সংকেত পাঠানো হয় কোস্টগার্ডে, এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোস্টগার্ড পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে।
এই আকাশ–নদী সমন্বিত অভিযান এখন ইলিশ রক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার বায়জীদ মতিন বলেন,“আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বোট শনাক্ত করেছি। যেসব জায়গায় বোটগুলো পাওয়া গেছে, সেসবের কো-অর্ডিনেট আমরা এয়ার হেডকোয়ার্টারকে জানিয়ে দিয়েছি। এই অভিযান চলবে, এবং আমরা বিশ্বাস করি এটি সফল হবে।”
মৎস্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০–২১ অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। মাঝে উৎপাদন বেড়েছিল, তবে সম্প্রতি তা আবার কমেছে।
অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রউফ বলেন,“বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার সহযোগিতায় এই সমন্বিত অভিযান মা ইলিশ সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে। উৎপাদন বৃদ্ধিতেও এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।