Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home মা একটা কথা বলতো, তোমরা কয় টাকা দেওয়ার জন্য রেডি
জাতীয়

মা একটা কথা বলতো, তোমরা কয় টাকা দেওয়ার জন্য রেডি

Zoombangla News DeskOctober 4, 2019Updated:October 4, 20198 Mins Read
Advertisement

2z00mচাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীর কাছে টাকা চাওয়ার একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া বিভিন্ন ‘তথ্য-প্রমাণ’ গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে হাজির করছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন। তবে এই ফোনালাপ ফাঁসের মাধ্যমে উপ-উপাচার্যের নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৮ জন শিক্ষক।

নিয়োগ বাণিজ্যের এই আলোচনার মধ্যেই ওই চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদার কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা নেওয়ার তথ্য-প্রমাণ কয়েক দিন আগে হাতে আসে। সেই সুবিধা নিয়েছেন উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার ভাগনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর গাজী তৌহিদুর রহমান।

এ বিষয়ে কয়েক দিন আগে নুরুল হুদার বক্তব্য নেওয়া হয়। তিনি জানান, ফোনালাপ ফাঁসের পর ‘মিথ্যা’ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠাতে উপ-উপাচার্যের ভাগনে তাকে চাপ দেন। তবে সেই অভিযোগ স্বীকার করেননি উপ-উপাচার্যের ভাগনে গাজী তৌহিদুর রহমান।

নানা সুবিধা নিয়েছেন উপ-উপাচার্যের ভাগনে

গত বছরের ১৩ নভেম্বর আইন বিভাগের ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর গত ১৭ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদন হয়। এর পরদিন ১৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন বিভাগে যোগদান করেন। তবে ওই নিয়োগে নুরুল হুদা শিক্ষক হতে পারেননি।

ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর এ বছরের ৭ এপ্রিল নুরুল হুদার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঞ্জাবির একটি ক্যাটালগ পাঠান উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার ভাগনে সহকারী প্রক্টর গাজী তৌহিদুর রহমান। ওই পাঞ্জাবির দাম লেখা ছিল ১ হাজার ৪৬৫ টাকা।

পরে ম্যাসেঞ্জারে পাঞ্জাবির সাইজ উল্লেখ করেন গাজী তৌহিদুর রহমান। সেটি রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের ‘সেইলর সপ’-এ আছে বলেও জানান। এরপর সেটি না পাওয়া গেলে আরও দুটি ক্যাটালগ হুদাকে পাঠান তিনি। তার মধ্যে লেমন রঙের পাঞ্জাবিটি তার পছন্দ বলে সেখানে বলেন। এই পাঞ্জাবি সংগ্রহের জায়গা বলেন ‘ইলিয়েন সপ’-এ। এর পরে ঠিকানা হিসেবে লেখেন, রাজধানী ধানমন্ডির রাপা প্ল্যাজার অপর পাশের ‘সীমা ব্লোসম’-এ। পরে তিনি হুদাকে একটি বিকাশ নম্বর দিতে বলেন। এরপর হুদা তাকে লেখেন, ‘ঠিক আছে স্যার, আগামীকাল আমি সাক্ষাৎকারে অংশ নেব। সাক্ষাৎকার শেষে আমি ওটা কিনতে যাবো।’

এরপর দোকানে গিয়ে বিভিন্ন পাঞ্জাবির ছবি উপ-উপাচার্যের ভাগনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান নুরুল হুদা। সেগুলো দেখার পর উপ-উপাচার্যের ভাগনে লেখেন, ‘বুঝতে পারছ?’
2z00m
চা-পাতা

গত ২৭ আগস্ট নুরুল হুদার মুঠোফোনে একটি ম্যাসেজ আসে উপ-উপাচার্যের ভাগনে গাজী তৌহিদুর রহমানের নম্বর থেকে। সেখানে লেখা ছিল, ‘লিপ্টন গ্রিন টি, মাইন ফ্লেভার।’

এসব বিষয় জানতে চাইলে চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদা দাবি করেন, প্রথম নিয়োগে তার চাকরি না হলেও পরে তাকে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসেই তার কাছ থেকে এসব সুবিধা নেন উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার ভাগনে গাজী তৌহিদুর রহমান। হুদার কাছ থেকে ল্যাপটপও ঠিক করে নেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছিল অন্তত ১৭ হাজার টাকা।

এসব বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও উপ-উপাচার্যের ভাগনে গাজী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘চাকরির পারপাসে আমি কারও কাছে কখনো টাকা-পয়সা নেইনি। কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে চাকরির জন্য কিছু করিনি বা এ ব্যাপারে আমি কারও সাথে তেমন কথা বলিনি।’

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও ফোনের ক্ষুদেবার্তার কথা উল্লেখ করলে উপ-উপাচার্যের ভাগনে বলেন, ‘রাজশাহীতে এসে ও (নুরুল হুদা) আমার সঙ্গে দেখা করেছিল। আমি ওকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমাকে একটা পাঞ্জাবি কিনে পাঠিয়ে দিও। পাঞ্জাবিটা দেওয়ার দুই-তিন মাস আগেই সে আমার সঙ্গে দেখা করেছিল, তখনই টাকা দিয়েছিলাম।’

তাহলে বিকাশে টাকা পাঠাতে চেয়েছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপ-উপাচার্যের ভাগনে জানান, আরও যদি টাকা লাগে তাই তার বিকাশ নম্বর চেয়েছিলাম। কিন্তু আর টাকা লাগেনি।

তবে চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদার দাবি, ওই শিক্ষক এই পোশাক বা চা-পাতা চেনার জন্য কেনার জন্য কোনো টাকাই দেননি।

নুরুল হুদার থেকে ল্যাপটপ ঠিক করিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সহকারী প্রক্টর গাজী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ল্যাপটপটা আমি ঢাকায় আইডিবি ভবনে দিয়ে আসছিলাম। নুরুল হুদা তখন রাজশাহী ভার্সিটিতে… আগে থেকেই বললাম পরিচয় ছিল। পরে আমি ওকে বললাম, “তুমি ল্যাপটপটা নিয়ে আসতে পারবা কি?” ও বলল, “ঠিক আছে স্যার, নিয়ে আসতে পারব।” যে টাকা লাগছে, সেটা তো আমি আগেই ওখানে পেমেন্ট করে রাখছি।’

তবে চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদার ভাষ্যমতে, ওই ল্যাপটপের প্রসেসর ঠিক করতে তার অন্তত ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। সেই টাকা তিনি উপ-উপাচার্যের ভাগনের থেকে পাননি।
3fg
ফোনালাপ ফাঁসের পর নুরুল হুদাকে ‘চাপ দেয়’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘চাকরিপ্রত্যাশীর স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্যের দর-কষাকষি, ফোনালাপ ফাঁস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রাত ১১টা ৮ মিনিটে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশের ঠিক ১৯ মিনিট পর উপ-উপাচার্যের ভাগনে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর গাজী তৌহিদুর রহমান ফোন করেন নুরুল হুদাকে। এরপর ১১টা ৪৯ মিনিটে নুরুল হুদা তাকে ফোন করেন। পরের দিন ১ অক্টোবর সকাল ১১টা ৪ মিনিটে দুবার হুদাকে ফোন করেন উপ-উপাচার্যের ভাগনে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আরেকটি নম্বর থেকে হুদাকে ফোন দেন তিনি। তখন ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ড কথা হয় তাদের। রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে হুদার কাছে আবার ফোন করেন উপ-উপাচার্যের ভাগনে। এবার তাদের মধ্যে ৬ মিনিট ২ সেকেন্ড কথা হয়।

ফোন দিয়ে উপ-উপাচার্যের ভাগনে কী বলেছেন, জানতে চাইলে নুরুল হুদা বলেন, তার স্ত্রীকে নিয়ে ১ অক্টোবর সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে আসতে বলেন উপ-উপাচার্যের ভাগনে। ওই ফোনালাপ মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তাদের দুজনকে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু হুদা সেটা শোনেননি।

তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর গাজী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘এটা (ফোনালাপ ফাঁস) কেন হলো, সেই বিষয়ে জানার জন্য তাকে ফোন দিয়েছিলাম।’

এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
3fg
টাকা চাওয়ার ফোনালাপ ফাঁসের পর

চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদার স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ফোনালাপের এক পর্যায়ে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘মা (নুরুল হুদার স্ত্রী), একটা কথা বলতো, তোমরা কয় টাকা দেওয়ার জন্য রেডি।’ বিষয়টি নিয়ে ওই রাত থেকেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় দেশব্যাপী।

ফোনালাপ ফাঁসের পর গতকাল বৃহস্পতিবার উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের মধ্যেই বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চৌধুরী মো. জাকারিয়া। সেখানে তিনি বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। সেখানে একটি ফোনালাপও সাংবাদিকদের কাছে দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার ফোনালাপ একটি স্বার্থন্বেষী মহল আংশিক, খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করেছে। যে ঘটনার সূত্র ধরে এই ইস্যু তৈরি হয়েছে তা হলো, আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড ছিল ১৩ নভেম্বর ২০১৮। এর মাত্র ৯ দিন আগে ৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে আইন বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির নথি আমার নজরে আসে, যা ইসলামী ব্যাংকে দুই লাখ টাকার একটি লেনদেনের রিসিপ্ট। সেই বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমি অনেকটা সাবলীল ভঙ্গিতে আমার নাম ও পরিচয় দিয়ে হুদার (নুরুল হুদা) স্ত্রীর কাছ থেকে টাকার উৎসটি জানার চেষ্টা করি।

উপ-উপাচার্য আরও বলেন, আমি যে রিসিপ্টটা পেয়েছিলাম, সেটা ছিল ডিসেন্ট ট্রেডার্সের, এর স্বত্বাধিকারীর নাম মোহাম্মদ হান্নান। সেখানে মোহাম্মদ হান্নানের ছবি ও স্বাক্ষর রয়েছে। এই মোহাম্মদ হান্নান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর, আমি যখন প্রতিবাদলিপি দিয়েছিলাম, তারপর থেকেই গত ২ অক্টোবর হঠাৎ করে টাকা লেনদেনের সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এই অর্থ লেনদেনের বিষয়ে নুরুল হুদার কাছে একাধিকবার জানতে চাওয়া হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

তবে ফোনালাপের বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, ‘যে কল রেকর্ড উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা ধার করা টাকা ফেরত সংক্রান্ত এবং ওই নিয়োগের এক সপ্তাহ আগেই।’

মোহাম্মদ হান্নান দাবি করেন, ‘ডিসেন্ট ট্রেডার্সের লেনদেন সংক্রান্ত যে রিসিপ্টটি উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটাতে ব্যাংক সংবলিত আমার ছবির ওপর সিল-স্বাক্ষর থাকার কথা। অথচ সেটা দেখে মনে হয়, ছবিটা পেস্ট করা।’

৫৮ শিক্ষকের বিবৃতি

তবে চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল হুদার স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্যের ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮ জন শিক্ষক। তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ৫৮ শিক্ষক উল্লেখ করেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দুটি পৃথক দুষ্কর্ম গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়-জনতাদের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের সদস্যদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য শেষে উপাচার্য “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এবং “জয় হিন্দ” বলে বক্তব্য শেষ করেন। এটি একটি পরিকল্পিত নকশা, যা তিনি তার দুর্নীতি ও অপকর্ম থেকে জনদৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। উপাচার্যের “জয় হিন্দ” বলার পক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর ইতিমধ্যে যে ধূর্ত ব্যাখ্যা গণমাধ্যমে হাজির করেছে, তাতে প্রশাসনের দূরভিসন্ধি স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের অকৃতিম বন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা দানকারী প্রতিবেশী ভারতের রাজনৈতিক এবং সামরিক স্লোগান “জয় হিন্দ” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কর্তৃক উচ্চারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্র সত্ত্বার সাথে সাংঘর্ষিক।’

উপ-উপাচার্যের নিয়োগ বাণিজ্যের কথা তুলে ধরে ওই শিক্ষকরা বিবৃতিতে বলেন, ‘উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, তিনি নিয়োগ বাণিজ্যে নিমজ্জিত। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের যে জনরব চালু আছে, এই ফোনালাপ তারই সত্যতা প্রমাণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া বিবেকহীন এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের মানবিকতাহীন ও নৈতিকতা বর্জিত এসব অপকর্মের প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই।’

এ ঘটনায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সর্বস্তরের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দুর্নীতিমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে অভিযাত্রা চলছে, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ এবং তিনিই আমাদের আশ্রয়। আমরা বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সাম্প্রতিক বিবেকহীন আচরণ, একই সাথে তাদের বাণিজ্যের তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করবেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজের সদস্যগণ দুর্নীতিবাজ, অসৎ এবং নিয়োগ বাণিজ্যে নিবেদিত প্রশাসকদের অপসারণ দাবি করছে।’

বিবৃতির স্বাক্ষর করেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুরুল হক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুননবী সামাদী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম. নজরুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম. খলিলুর রহমান খানসহ বিভিন্ন বিভাগের ৫৮ জন শিক্ষক।

ওই নিয়োগে শিক্ষক হয়েছেন যারা

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে তিনটি প্রভাষক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই নিয়োগে প্রভাষক পদে বিভাগে যোগদান করেছেন ফোনালাপ ফাঁস হওয়া উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার মেয়ের জামাই সাইমুন তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে নূর নূসরাত সুলতানা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী বনশ্রী রানী। সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় একটা কথা কয় জন্য টাকা তোমরা দেওয়ার’ বলতো মা রেডি
Related Posts
অনলাইনে ভ্যাটের

অনলাইনে ভ্যাটের কার্যক্রম চলবে ই-ভ্যাট সিস্টেমে

December 24, 2025
বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

December 24, 2025
সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

December 24, 2025
Latest News
অনলাইনে ভ্যাটের

অনলাইনে ভ্যাটের কার্যক্রম চলবে ই-ভ্যাট সিস্টেমে

বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন

দেশের সব বিমানবন্দরে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

সর্বোচ্চ বয়সসীমা

সরাসরি নিয়োগে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ

ডিএমপি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৯২৫ মামলা

ইনকিলাব মঞ্চ

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আর খারাপের দিকে যাবে না : অর্থ উপদেষ্টা

দীপু চন্দ্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার

উপদেষ্টা

নির্বাচন কমিশনে গেলেন ৪ উপদেষ্টা

আইজিপি

নির্বাচনে আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন : আইজিপি

বর্জ্য পোড়ানোর ছবি

বর্জ্য পোড়ানোর ছবি পাঠালে মিলবে পুরস্কার

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.