জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নে একটি বাল্যবিয়ে নিয়ে এলাকায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে সেই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়েছে। এদিকে কিশোরীকে দেয়া জন্মসনদ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কেরামতিতে এলাকায় বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। মা-বাবার বিয়ের দুই বছর আগেই জন্ম নিয়েছে সে এমনটিই পাওয়া গেছে কিশোরীর মা-বাবার বিয়ের কাবিননামা ও কিশোরীর জন্মসনদ দেখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরযশোরদী ইউনিয়নের কুমারদিয়া গ্রামের জনৈক সিরাজ ফকিরের কিশোরী মেয়ের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত মাসুদ রানা ফকিরের বিয়ের দিন ধার্য ছিল গতকাল বুধবার (০৩ জুন)। বাল্য বিয়ে হচ্ছে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেতি প্রু ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় তিনি বাল্য বিয়ে না দিতে কিশোরীর বাবা-মাকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিশোরীর বাবা সিরাজ ফকিরের বিয়ের কাবিননামায় দেখতে পান ১৭ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। অথচ চেয়ারম্যান কর্তৃক তার মেয়ের যে জন্মসনদ দেয়া হয়েছে তাতে কিশোরীটির বয়স দেখানো হয়েছে ১৯ বছর ৬ মাস। তার মানে মা-বাবার বিয়ের দুই বছর আগেই জন্ম হয়েছে কিশোরীর। এটি চেয়ারম্যানের গাফিলতি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক তালুকদার জানান, বিষয়টি ভুল হয়ে গেছে। এলাকার বেশকিছু মুরব্বী আমাকে বলায় আমি জন্মসনদে স্বাক্ষর করেছি। যদিও পরে ইউএনও মহোদয়ের হস্তক্ষেপে বিয়েটি হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।