বিনোদন ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় উর্বশী-ঋষভের সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। ঋষভকে জড়িয়ে উর্বশীর পোস্ট দেখে নেটিজেনরা যেমন নিন্দা করে, তেমনি করতে দেখা যায় ক্রিকেটার ঋষভকেও। এবার এই নিন্দায় যেন আরও ঘি ঢেলে দেলেন উর্বশীর মা মীরা রাউতেলা।
ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পান্থ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন, এ খবর সবারই জানা। ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দিল্লি থেকে বাড়ি (রুরকি) ফেরবার পথে হরিদ্বারের মাংলাউরের কাছে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে পান্থের গাড়ি। মুহূর্তের মধ্যেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে গাড়িতে। কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তারকা ক্রিকেটার।
এ অবস্থায় দ্রুত ঋষভকে ভর্তি করানো হয় দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে। অবস্থার উন্নতির জন্য তাকে গত বুধবার সেখান থেকে এয়ারলিফট করে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি নিয়ে আসা হয়।
পায়ের লিগামেন্টে চোট পাওয়ায় সে চিকিৎসা চলছে সে হাসপাতালে। তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে আছেন ডক্টর দীনশ পার্দিওয়ালা।
কিন্তু এ হাসপাতালেই বিপত্তি বাঁধায় বলি অভিনেত্রী উর্বশী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের বরাত অনুযায়ী, এ হাসপাতালের বাইরেই তাকে ঘুরতে দেখা গেছে সম্প্রতি।
শুধু তাই নয়, তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তিনি ক্রিকেটার ঋষভের জন্য প্রার্থনা করছেন। এ গায়ে পরা ভাব নেটিজেনরা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। যেখানে ঋষভ তাদের সম্পর্ককে মানে না সেখানে তার এমন পোস্ট বড্ড বেমানান বলেই অভিমত নেটিজেনদের।
এসব বিতর্ক যখন চলছে, ঠিক সে সময় সে আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিয়েছেন অভিনেত্রীর মা মীরা রাউতেলা। সম্প্রতি তিনি মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে মেয়ের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘সব কিছু এখন ঠিক আছে বেটা, চিন্তা করিস না’।
এমন হেংলামি পোস্ট দেখে নেটিজেনরা কটাক্ষের সুরে বলেছেন, মীরা রাউতেলা কি সত্যিই মেয়েকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন? নাকি মেয়ের প্রেমের প্রচার চালাচ্ছেন?
কেউ লিখেছেন, ‘যে কথাটা ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে বলা যায়, সেটা সারা বিশ্বকে জানানোর কি দরকার?’ অনেক নেটিজেন লিখেছেন, মা মেয়ে দুজনেই অসভ্য, লজ্জা নেই। গোটাটাই প্রচারের আলোয় থাকার চেষ্টা বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।