বিনোদন ডেস্ক : প্রথমবার মা হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সিঁথি সাহা। নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি হসপিটালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সুখবরটি শুনে বিস্ময় প্রকাশ বা অবিশ্বাসের সুযোগ নেই। অনেকটা সবার আড়ালে থেকেই মাতৃত্বের স্বাদ নিতে চাইলেন এই সুকণ্ঠী। সেই পরিকল্পনার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন ঘটলো ১৯ সেপ্টেম্বর। এদিন সিঁথির কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। নাম রেখেছেন সামারা জয়ী।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিঁথি নিউ জিল্যান্ড থেকে ফোনে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘গতকালই (৪ অক্টোবর) আমরা মা-মেয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছি। টানা ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলাম। কারণ, ও নির্দিষ্ট সময়ের একমাস আগেই পৃথিবীতে এসেছে। স্বস্তির বিষয় আমরা দুজনেই এখন সুস্থ আছি। বাসায় ফিরেছি। সবার কাছে আমার সন্তানের জন্য দোয়া চাই।’
অনেকেই জানেন, সিঁথি সাহা বৈবাহিক সূত্রে অনেক বছর আগে থেকেই নিউ জিল্যান্ডের পাসপোর্ট বহন করছেন। যদিও তিনি হ্যাপি ছিলেন ঢাকার জীবনেই। তবে নবজাতক ইস্যুতে নিউ জিল্যান্ডের উন্নত সেবা ও সুবিধা নিতেই ঢাকা থেকে গত আগস্টে দেশটিতে উড়াল দেন সিঁথি। কিন্তু অনেকটা সবার অলক্ষ্যে কিংবা প্রায় লুকিয়ে কেন এই মাতৃত্বের স্বাদ নিয়েছেন সিঁথি। জবাবে জানালেন বিষণ্ণ এক বাস্তবতার কথা।
সিঁথি বলেন, ‘গত বছর (২০২২) একটি খবর আমার জীবনকে ওলটপালট করে দেয়। আমি নিশ্চিত হই, আমার শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। আমি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হই। চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু বার বার মনে হতে লাগলো, ক্যানসারের কাছে হেরে যাওয়ার আগে আমার একটা অস্তিত্ব রেখে যেতে যাই এই সুন্দর পৃথিবীতে। মূলত সেই সিদ্ধান্ত থেকেই কনসিভ করা। কিন্তু যেহেতু আমার শরীর ভালো ছিলো না, কঠিন চিকিৎসারে মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, ফলে আদৌ আমি আমার বাচ্চাটাকে পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলাতে পারবো কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলাম। অবশেষে আমি জয়ী হয়েছি। আমার জয়ীকে পৃথিবীর আলোয় আনতে পেরেছি। এবার আর কিছুই চাওয়ার নেই, হারাবারও নেই। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
না। সামারা জয়ীকে নিয়ে বাকি জীবন নিউ জিল্যান্ডেই বসতি গড়বেন সিঁথি, তেমন মেয়ে নন তিনি। নভেম্বরেই কন্যাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন। জানালেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গানেও নিয়মিত হবেন। করবেন টিভি সঞ্চালনাও। যদি শরীর সায় দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।