জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিদ্যুত হোসেন নামে এক বখাটের ধর্ষণের শিকার হয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারী পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে। মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে সন্তান প্রসব করে। বর্তমানে নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছে।
তবে সন্তানের বাবা হতে রাজি না বখাটে বিদ্যুত হোসেন। এ কারণে থানা পুলিশ আদালতের আদেশে ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে বিদ্যুতের ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বিদ্যুত হোসেন উপজেলার চৌকিবাড়ি গ্রামের শাহ কামালের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা পেশায় দর্জি। তিনি বাড়ির অদুরে দিঘলকান্দি তিনমাথা বাজার এলাকায় টেইলার্সে পোশাক তৈরি করেন। প্রায় ১৫ বছর আগে ওই মেয়েটিকে দত্তক নেন টেইলার্সের মালিক। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটির বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর। গত ২৫ জানুয়ারি মেয়েটির বাবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যান এবং মা যান পাশের বাড়িতে। এ সুযোগে প্রতিবেশী বখাটে বিদ্যুত হোসেন মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই বাড়ি থেকে কেটে পড়ে বিদ্যুত। এ কারণে মেয়েটি এ বিষয়টি প্রকাশ করেনি। এ অবস্থায় মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে মা-বাবা তাকে জিজ্ঞাস করলে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে অসহায় মা-বাবা মেয়ের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী মা-বাবা জানতে পারেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসামি বিদ্যুতকে ওই দিনই পুলিশ গ্রেপ্তারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে যশোর সেফ হোমে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে ১১ অক্টোবর ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে বিদ্যুতের ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার একমাত্র আসামি বিদ্যুত ধর্ষণের দায় স্বীকার না করায় তার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে। নবজাতক ও তার মায়ের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ডিএনএ পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।