জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১৭ নভেম্বর একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে হনুফা নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী। কিন্তু সন্তান জন্মের পরেই তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন হনুফা তারপর থেকেই শিশুসহ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর দেয়া হয়েছে প্রশাসনকেও। জানা যায়, শিশু বয়স থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী হনুফা আক্তার (৩১)। বিয়েও হয়েছিল তাঁর। সে সংসারে এক মেয়ের জন্ম হয়। শিশুটির বয়স যখন দুই, তখন তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর শিশুটিকে রেখে নিরুদ্দেশ হন তিনি। এরই মধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ আট বছর। খোঁজ না পাওয়ায় স্বজনরা ধরেই নিয়েছিল হনুফা বেঁচে নেই। কিন্তু এতকাল পর খবর গেল, ‘হনুফা মা হয়েছেন’। মা হলেও শিশুটির ‘বাবা’ কে তা জানাতে পারছেন না হনুফা। তাই দরিদ্র স্বজনরা শিশুসহ হনুফাকে বাড়ি নিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপজেলা প্রশাসনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মইনুল হক খান জানান, গত ১৭ নভেম্বর রেহেনা আক্তার নামের এক পথচারী হনুফাকে পথে কাতরাতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই তিনি এক ছেলে শিশু প্রসব করেন। কিন্তু কোলে নেওয়ার বদলে ভূমিষ্ঠ শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলা ভবন থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে চান হনুফা। ফলে শিশুসহ হনুফাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।