Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home মা হাতে ৫০ টাকার একটি নোট দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ’
    জাতীয় শিক্ষা

    মা হাতে ৫০ টাকার একটি নোট দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ’

    Sibbir OsmanAugust 16, 20223 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক; মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানের এক চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে আমি। জন্মের ছয় মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছি। মা চা-বাগানের শ্রমিক। তখন মজুরি পেতেন দৈনিক ১৮ টাকা।

    সেই সময় আমাকে পটের দুধ খাইয়ে, অন্যের বাসায় রেখে মা যেতেন বাগানে কাজ করতে। ২০০৭ সালে আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। মায়ের মজুরি তখন ৮৮ টাকা। এক দিন বললেন, ‘বাজারে গিয়ে পাঁচ কেজি চাল নিয়ে আয়। ’ সেই চাল দিয়ে এক মাস চলেছে আমাদের। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি মা চাল ভাজলেন। পলিথিনে সেই ভাজা চাল, আটার রুটি আর লাল চা একটা বোতলে ভরে গামছায় প্যাঁচালেন। আর আমাকে আটার রুটি ও লাল চা দিলেন। দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি শুধু পেঁয়াজ, শুকনা ভাত, তেল আর লবণ আছে। তা দিয়ে মেখে খেলাম। রাতেও কোনো তরকারি ছিল না। তখন পাশের বাসার কাকু আমাকে ডেকে কুমড়া আর আলু দিয়েছিলেন, যা দিয়ে আমরা দুইটা দিন পার করেছিলাম। তখন কুপি বাতির আলোয় পড়তাম। মা আগেই রেডি করে দিতেন বাতি। তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া হতো না। দোকানদার বাকিতে তেল দিতেন না। পঞ্চম শ্রেণির পর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুলে পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি পড়ালেখার সুযোগ পাই। মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। তখন তাঁর সামান্য আয়ের একটা অংশ থেকে আমাকে টিফিন খাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দিতেন।
    মা
    ২০১৩ সালে বিএএফ শাহীন কলেজে ভর্তি হই। তখন মা ১০২ টাকা করে পেতেন। এই সময়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলে আমার ভর্তির টাকা, ইউনিফর্ম আর বই-খাতা কিনে দিয়েছিলেন। ২০১৪ ডিসেম্বর। মায়ের হাতে টাকা নেই। তখন এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন চলছিল। মা ৫০ টাকার একটা নোট দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেছিলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ। ’ কলেজের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলাম। এইচএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার কোচিং। মা তখন আবার লোন নিলেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। লোনের কিস্তির জন্য এই সময় মা বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিনিময়ে পেতেন ৩০০ টাকা। আমি জানতাম ঘরে চাল নেই। শুধু আলু খেয়েই অনেক বেলা কাটিয়েছিলেন মা।

    এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলাম। মা তখন কী যে খুশি হয়েছিলেন! কিন্তু ভর্তির সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, মায়ের মুখটা তত মলিন দেখাচ্ছিল। কারণ চা-বাগানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে তো সংসারই চলে না। ভর্তির টাকা দেবেন কোথা থেকে। পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করল। বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশনি করেই চলতাম। হলের ক্যান্টিনে ২০ টাকার সবজি-ভাত খেয়েই দিন পার করেছি। অনেক দিন সকালে টাকার অভাবে নাশতাও করতে পারিনি। দুর্গাপূজায় কখনো একটা নতুন জামা কিনতে পারিনি।

    ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে উপজেলায় মাকে সম্মাননা দেওয়া হবে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরে মায়ের নামটা কেটে দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা আমার চা শ্রমিক। স্টেজে উঠে নাকি কিছু বলতে পারবেন না। তাই নাম কেটে দিয়েছে! মা এখনো প্রতিদিন সকালে একটা বোতলে লবণ, চা-পাতা ভর্তা, আটার রুটি, সামান্য ভাত পলিথিনে ভরে নিজের পাতি তোলার গামছায় মুড়িয়ে নিয়ে দৌড়ান চা-বাগানে। আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান! এই মজুরিতে কিভাবে চলে একজন শ্রমিকের সংসার? আজকাল মায়ের শরীর আর আগের মতো সায় দেয় না। বলেন, ‘তোর চাকরি হইলে বাগানের কাজ ছেড়ে দেব। ’ আমি এখন সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি।

    -সন্তোষ রবিদাস অঞ্জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতনে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘বাপ’ ৫০ একটি কাঁদতে কেউ জাতীয় টাকার দিয়ে দেয়নি ধার নোট বলেন মা রে শিক্ষা হাতে
    Related Posts

    বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পাক যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান

    October 26, 2025
    mansur ahmmad

    আমিরাতে ৪০ লাখ টাকার সোনা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

    October 26, 2025
    Kalam

    কালামকে আজ কাজে বের হতে দিতে চাননি তার স্ত্রী

    October 26, 2025
    সর্বশেষ খবর

    বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পাক যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান

    mansur ahmmad

    আমিরাতে ৪০ লাখ টাকার সোনা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

    Kalam

    কালামকে আজ কাজে বের হতে দিতে চাননি তার স্ত্রী

    সিলেট চেম্বারের নির্বাচন

    সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

    মেট্রোরেলে বিয়ারিং প্যাড

    মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের কাজ কী, মান ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি

    মেট্রোরেলের মানহীন বিয়ারিং প্যাড

    ২০২০ সালেই মেট্রোরেলের মানহীন বিয়ারিং প্যাড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বুয়েট

    রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান

    বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর অভিযান, বিপুল বিদেশি অস্ত্র ও বিস্ফোরক জব্দ

    অতিরিক্ত সিম

    অতিরিক্ত সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

    মেট্রোরেল

    মেট্রোরেল চলাচল নিয়ে নতুন নির্দেশনা

    Sagor

    গভীর নিম্নচাপে সাগর উত্তাল, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.