স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখায় ড্যারিল মিচেল এবং জেমস নিশামের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। গতরাতে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। উইলিয়ামসন বলেন, দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন মিচেল। নিশামের ঝড়ো ইনিংসটি ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়েছে।
আবু ধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ১৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১১০ রান। এমন অবস্থায় ম্যাচের লাগাম ছিলো ইংল্যান্ডের হাতেই। শেষ ৪ ওভারে ৫৭ রান দরকার ছিলো নিউজিল্যান্ডের। আস্কিং রান রেট ১৪ অতিক্রমও করে। এ অবস্থায় ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে উঠেন নিশাম। ক্রিস জর্ডানের করা ১৭তম ওভারে ২৩ রান নেন নিশাম। আর ১৮তম ওভারে ১৪ রান তুলেন নিশাম ও মিচেল। তাতেই ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে যায়। দরুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে নিউজিল্যান্ড। ২ ওভারে ২০ রান দরকার পড়ে কিউইদের।
১৯তম ওভারে দলের বাকী টুকু প্রয়োজন মিটিয়েছেন ওপেনার মিচেল। পেসার ক্রিস ওকসের করা ঐ ওভার থেকে ২০ রান নেন মিচেল। তাতেই এক ওভার বাকী রেখেই প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে এই জয়ের পেছনে মিচেল ও নিশামকে কৃতিত্ব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৪৭ বলে অপরাজিত ৭২ রান করা মিচেলকে নিয়ে উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমাদের অনেকেই বিভিন্ন আসরে খেলেছে। এটা কঠিন ম্যাচ হবে জানতাম। কঠিন লক্ষ্য ছিলো। ম্যাচ জিততে হবে , শুধু উইকেটে থাকতে হতো এবং জুটি গড়তে হতো। মিচেল দারুনভাবে ম্যাচ জিতিয়েছে। চাপের মুহূর্তে সে দারুণ ব্যাটিং করেছে। অসাধারণ জয়।’
মাত্র ১১ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা নিশামকে নিয়ে উইলিয়ামসন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ছোটো ছোটো মুহূর্তে খেলার মোড় ঘুড়ে যায়। নিশাম উইকেটে এসেই কয়েকটি ছক্কা মারে, এর আগেও এমনটি করেছে সে। সে অবশ্যই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে ম্যাচ শেষ করা মিচেল বলেন, ‘মনে হয় যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবে ম্যাচ শেষ করে আসতে পেরে খুব খুশি। ডেভন কনওয়ের সাথে প্লাটফর্ম তৈরির পর নিশাম উইকেটে এসে কয়েকটা ছক্কা মারলো। যা আমাদের জয় পেতে সহায়ক হয়েছে।। আমরা বুঝতে পারছিলাম একটা-দুইটা ভালো ওভার ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’
নিউজিল্যান্ডকে কিভাবে জয় এনে দিয়েছেন মিচেল, সেটি গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন তার বাবা-মা। এতে মিচেলের উচ্ছ্বাসের মাত্রাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মিচেল বলেন, ‘এটা দারুণ যে বাবা এখানে ছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের যা অবস্থা, ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা, সবকিছু অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তার পরও গ্যালারিতে তাদের দেখতে পাওয়াটা আনন্দের।’ সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।