বিনোদন ডেস্ক : একাধিক তৃণমূল বিধায়ক নাকি সম্পর্ক রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। বিজেপিতে যেতে চান তাঁরা। তার মধ্যে আবার অনেকে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ‘মহাগুরু’। আর তা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। মিঠুন মানসিকভাবে অসুস্থ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজেপির সব বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন মিঠুন। তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সংগঠনের অন্যান্য নেতাদেরও। আর সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একেবারে বিস্ফোরক দাবি করেছেন মিঠুন। বৈঠকের শেষে ‘বোমা ফাটিয়ে’ তিনি বলেছিলেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। তার মধ্যে ২১ জন মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।” তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শান্তনু সেন বলেন, “কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। উনি আসলে শারীরিকভাবে নন, মানসিকভাবে অসুস্থ। সমস্যাটা হল উনি রাজনীতি বোঝেন না।”
সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন বলেছিলেন, “আমি আপনাদের একটা ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি। তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন আমার সঙ্গে। মুম্বইতে যখন ছিলাম, একদিন সকালে উঠে শুনি বিজেপি শিবসেনার সরকার তৈরি হবে। মহারাষ্ট্রে হতে পারলে এখানে হতে পারে না কেন?”
তবে মিঠুনের কথা মতো রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে আরও অন্তত ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজ হবে বিজেপির। কারণ ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। আর তার মধ্যে নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে অনেকেই যোগ দিয়েছেন অনেকেই। তার জেরে এর মধ্যে বিজেপির কাছে রয়েছে বর্তমানে ৬৯ জন বিধায়ক। আর সেই সংখ্যার সঙ্গে তৃণমূলের ৩৮ জন যোগ করলে দাঁড়ায় ১০৭। যদিও রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে হলে আরও ৩৭ জন বিধায়কের প্রয়োজন রয়েছে বিজেপির। এদিকে তৃণমূলের তরফে একাধিক দাবি করা হয়েছে ঠিক এর উলটোটা। একাধিক সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির এখনও অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা তৃণমূলে আসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা দরজা খুলে দিলে দলটা উড়ে যাবে।”
যদিও এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছেন যে, “তৃণমূলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে ভেঙে ফেলা সহজ নয়। বিজেপির আসলে কোনও কাজ নেই, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা (Central Agencies) দিয়ে দখল করানো ছাড়া। তারা মহারাষ্ট্র নিয়েছে, এবার ঝাড়খণ্ডের দিকে হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু, বাংলায় তাদের পরাজয় হয়েছে। বাংলাকে ভেঙে ফেলা অত সহজ নয়।”
চিরবিদায় নিলো শিল্পা শেঠির ‘প্রথম সন্তান’, শোকে যা করলেন বলিউড অভিনেত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।