বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রখ্যাত অনুষ্ঠান উপস্থাপক, বিতার্কিক, এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুর নূর তুষার সম্প্রতি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টটিতে তিনি নিজের জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও মিডিয়া জগতে সংঘটিত কিছু ঘটনাকে তুলে ধরেছেন, যা এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।
ডা. তুষার লিখেছেন, তিনি কখনোই আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চাননি। একটি সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন আমার বক্তৃতা বন্ধ করাতে বলেছিল। তখন এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার ও সেলফি তুলেছি।
তিনি লিখেছেন, আমি চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স ফ্যাকাল্টির সেই প্রোগ্রামটার বারোটা বাজাতে পারতাম, কিন্তু ধৈর্য ধরলাম।
পোস্টেটিতে শুভেচ্ছার এই উপস্থাপক উল্লেখ করেন বুশরা নামের একজনের কথা, যিনি পরে গ্রে-তে ইন্টার্ন করেছেন এবং চ্যানেল আই-তে কাজ করেছেন। ডা. তুষার জানান, বুশরা গ্রে-তে ইন্টার্ন করার ইচ্ছা পোষণ করেছিল এবং এ জন্য ওয়াসির কথা শুনতে বাধ্য হয়েছিল। ওয়াসি পরে ‘জয় বাংলা’ গান লিখেছে, কিন্তু এখন সেই গ্রে-তে পরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তুষার বলেন, আমাকে কেন যেন সহ্য করতে পারতো না এই গং বা গ্যাং, এরা ছিলো মিডিয়া মাফিয়া। গাওসুল এখন হাওয়া, গ্রে আর এশিয়াটিকের নাম দুর্বৃত্তদের তালিকায়। তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে আক্রমণ করত এবং তাকে অনলাইনে কটাক্ষ করত।
ডা. তুষার তার পোস্টে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং জানান, তিনি সবসময় আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছেন। তার মতে, এখনো আল্লাহর বিচার শুরুই হয়নি, কিন্তু যাদের তিনি অভিযুক্ত করেছেন তারা ইতিমধ্যেই তাদের শাস্তি পাওয়া শুরু করেছে। এই শাস্তি এরা নিজেরাই নিজেদের দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তুষার।
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, কিছু ব্যক্তি যারা তাকে আক্রমণ করত, তারা এখন পলায়নপর। আল্লাহর বিচার এখনো শুরু হয়নি, কিন্তু তাদের ভেতরকার ভয়ই তাদের পালাতে বাধ্য করেছে বলে তিনি মনে করেন।
ডা. তুষারের এই পোস্টে এক ধরনের হতাশা, ধৈর্য, এবং শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ওপর আস্থা রাখার যে আত্মতৃপ্তি তা প্রকাশ পেয়েছে। এটি বর্তমান সময়ের মিডিয়া জগতে চলমান কিছু অসঙ্গতি ও দুর্নীতি নিয়ে তার গভীর ক্ষোভকেই যেন প্রতিফলিত করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।