জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে আদালতে হত্যাচেষ্টার কোর্ট রেকর্ড (সিআর) মামলা করতে এসে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি এখন জেলহাজতে।
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যাচেষ্টার সাজানো মামলা দায়েরের জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সিডব্লিউ মূলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আমলি আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্ল্যাহ।
রোববার (১১ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে। এদিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিডব্লিউ মূলে সোমবার (১২ অক্টোবর) শহিদুল ইসলামকে আদালতে আবারও হাজির করা হয়েছিল।
এছাড়া প্রকৃত ঘটনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও শহিদুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান এবং ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে আগামী ২৫ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে হাসপাতালের এ্যাডমিশন রেজিষ্ট্রার এবং ট্রিটমেন্ট শিট দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার মো. হারুনুর রশীদ।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর বলদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে সিআর মামলা রেকর্ডের জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে হত্যা করা চেষ্টা করা হয়েছিল এমন বর্ণনা দিয়ে প্রতিপক্ষ এবং একই গ্রামের অধিবাসী ফরহাদ হোসেন, নয়ন মিয়া, শমসের আলী, ফরিদুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামকে আসামি করার জন্য পিটিশনে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়। পিটিশনে ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং সাক্ষী তলবের আবেদন করা হয়। শহিদুলের পক্ষে আদালতে পিটিশনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদা আকতার বেবী।
রোববার পিটিশনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত শহিদুল ইসলামের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা এবং ব্যান্ডেজের উপরিভাগে রক্ত লেগে থাকার চিহ্ন ছিল। কিন্তু তার পান চিবানো, চলাফেরা এবং ভাব-ভঙ্গিমা দেখে সন্দেহের উদ্রেক হলে বিচারক শহিদুলের মাথার ব্যান্ডেজ খুলে আঘাতের চিহ্ন দেখাতে বলেন। পিটিশনকারীর আইনজীবী ব্যান্ডেজ খুললে দেখে কোনো আঘাত বা জখমের চিহ্ন নেই।
এ অবস্থায় বিজ্ঞ বিচারক পিটিশন খারিজ করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগ এনে পিটিশনকারী শহিদুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
পিটিশনকারী শহিদুল ইসলামের আইনজীবী মাকসুদা আকতার বেবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।