জুমবাংলা ডেস্ক : মিল্কভিটাসহ দেশের ৮টি ব্রান্ডের দুগ্ধ উৎপাদনকারী কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ। এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেন্নাইয়ের এসজিএস। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে চেন্নাইয়ে ওই কোম্পানিগুলোর পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করা হয়।
মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ, ফার্মফ্রেশ, আরডি, ইগলু, সাভার ডেইরি এবং একজন প্রান্তিক খামারীর দুধের ১৬টি নমুনা পাঠায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। তাদের গবেষণায়, এ সব নমুনায় এন্টিবায়োটিক, সালফাড্রাগ এবং সীসা ও ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি মেলেনি। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে ২৮ জুলাই পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জনসাধারণকে পাস্তুরিত দুধ কেনা ও খাওয়ায় ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে জমা পড়লে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। এরপর মিল্কভিটা, প্রাণ ও ফার্মফ্রেশের পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন-বিপননের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন হাইকোর্টের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি মিল্কভিটাসহ ওই ১৪টি প্রতিষ্ঠানই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল। এন্টিবায়োটিক, সীসাসহ ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় বিএসটিআই অনুমোদিত ওই ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের উৎপাদন কেন আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত ও সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না এবং এসব দুধ পরিশুদ্ধ করে বাজারজাত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছে আদালত।
১৪টি কোম্পানিসহ বিবাদিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিএসটিআই নতুন করে পাস্তুরিত দুধের মানদণ্ড নির্ধারণে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকরে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম শুনানি করেন। একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ গত ১৪ জুলাই বাজারে থাকা বিএসটিআই অনুমোদিত সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
এসব কোম্পানির দুধে এন্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, ফরমালিন, ব্যাকটেরিয়া ও ফরমালিন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে চারটি গবেষণাগারকে এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল), আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি), বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (বিসিএসআইআর) ও বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ফুড সেফিটি ল্যাবরেটরিতে বাজারের এসব দুধ স্বাধীনভাবে পরীক্ষা করতে বলা হয়।
সেই সঙ্গে দুধে এন্টিবায়োটিক বা ডিটারজেন্ট আছে কিনা তা পরীক্ষার সক্ষমতা অর্জন করতে বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরির কত সময় ও অবকাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আদালতে জমা দিতে বলা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।