বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছায়াপথের বাইরের দিকের নক্ষত্রগুলো ক্রমাগত বেশি বক্রভাবে অবস্থান করছে। বিষয়টি একটু চমকপ্রদ হলেও নতুন কিছু নয়। এর আগেও প্রায় ডজনখানেক ছায়াপথের বক্র ও পাকানো আকৃতির কথা জানা গেছে। তবু এমন আকৃতি কিন্তু দুর্লভ ঘটনা।
কিন্তু আকাশগঙ্গার আকৃতি জেনে ফেলা সহজ কোনো কাজ নয়। এটা অনেকটা একটি ঘরের মধ্যে বসে পুরো গ্রামের আকৃতি বোঝার চেষ্টা করার মতো। আসলে তার চেয়েও অনেক কঠিন। সাধারণত একই রকম অন্য ছায়াপথের আকৃতি দেখে মিল্কিওয়ের আকৃতি অনুমান করা সম্ভব হয়েছে।
কারণ, নিজের ছায়াপথ পুরোটা দেখা না গেলেও টেলিস্কোপের চোখে অন্য ছায়াপথরা প্রায় পুরোটা তো ধরা দেয়। তবে মিল্কিওয়ে যে পাকানো হতে পারে তার ইঙ্গিত ৫০ বছর ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। নতুন ম্যাপে আরও জানা গেল, মিল্কিওয়ের পাকানো চাকতির মধ্যে নতুন নক্ষত্রও রয়েছে। ফলে কিছুটা বোঝা গেল, বাইরের দিকের এই বাঁক ও পাকের কারণ আসলে চাকতির ভেতরের দিকের পুরোনো ও ভারী নক্ষত্রের কারসাজি।
অনেক দূর থেকে তো দেখলে মনে হয় আমাদের মিল্কিওয়ের কেন্দ্র কয়েক শ কোটি নক্ষত্রের সমন্বয়ে গড়া। যাদের মিলিত ভরের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে বাইরের দিকের তারকারা। কয়েক শ মিলিয়ন বছর লাগে এক একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন হতে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে নক্ষত্রগুলোর মিলিত মহাকর্ষের প্রভাব কমে আসে।
মিল্কিওয়ের চাকতির বেশির ভাগজুড়েই রয়েছে হাইড্রোজেন গ্যাস। বাইরের দিকের নক্ষত্রের ক্ষেত্রে কম মহাকর্ষের সুযোগে এই গ্যাস আর একটি সমতলে সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং আকৃতি হয়ে যায় বক্র ও পাকানো। অনেকটা ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।