আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ মালিতে প্রায় ১২ বছর ধরে চলতে থাকা শান্তিরক্ষা মিশন গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
শনিবার (১ জুলাই) দেশটি থেকে মিশন গুটিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে জাতিসংঘ।
গত শুক্রবার এক ঘোষণায় জাতিসংঘ জানায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই দেশটিতে থাকা শান্তিরক্ষীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
মালির সামরিক জান্তা দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই দেশটি থেকে শান্তিরক্ষীর শক্তিশালী বাহিনীকে চলে যেতে বলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শান্তিরক্ষা মিশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
ফলে মালিতে অবস্থানরত শান্তিরক্ষী বাহিনীকে ৩০ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালি শান্তিরক্ষা মিশন প্রত্যাহার করতে হবে।
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, শান্তিরক্ষী হিসেবে মালিতে বাংলাদেশের ১ হাজার ৩৯৬ সেনাসদস্য আছেন। এ ছাড়া দেশটিতে ২৮৩ জন পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবমতে মালিতে শান্তিরক্ষী হিসেবে সেনা পাঠানো শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর পুলিশ সদস্য পাঠানোয় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে শান্তিরক্ষী হিসেবে ১৫ হাজার ২০৯ জনের নিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্য আছেন ১৩ হাজার ২৮৯ জন। পুলিশ সদস্য রয়েছেন সংখ্যা ১ হাজার ৯২০ জন।
জাতিসংঘের মালি মিশনের প্রধান এল গাসামি জানান, কোনো দেশের সম্মতি ছাড়া সে দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। এর আগে দেশটিতে এখনো পূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় এ মিশনের সময় বাড়ানোর পরামর্শ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মালিতে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনশ’র বেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিণত হয়েছে দেশটিতে।
শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে জাতিসংঘ এবং মালির সামরিক জান্তার মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রবল উত্তেজনা চলছিল। চলতি মাসে মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক আলোচনায় শান্তিরক্ষীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।