আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেনা মোতায়েন করা হলে লিবিয়ায় চলমান ছায়াযুদ্ধের পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে৷ মিশরেরর সংসদে লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হওয়ায় সেই আশঙ্কা আরো বাড়লো৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
লিবিয়ার এক অংশে মিশরের সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত সংসদেও অনুমোদন পেলো৷ সোমবার প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সমর্থনপুষ্ট সংসদের বেশির ভাগ সদস্যই দেশের পশ্চিম সীমান্তে ‘সশস্ত্র অপরাধী চক্র’ ও ‘বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের’ কার্যকলাপ ঠেকাতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছেন৷ তাদের বক্তব্য, এভাবেই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে মিশরের সেনাবাহিনী৷
এই প্রস্তাব পাশ হবার আগে, লিবিয়ায় যে সমস্ত তুরস্কপন্থি শক্তিরা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট এল-সিসি৷ এরপরই সোমবারে সংসদে পাস হলো সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব৷
সেনা মোতায়েন হলে লিবিয়ায় চলমান ছায়াযুদ্ধের পরিস্থিতিতে বাড়তে পারে মিশর ও তুরস্কের মধ্যে দূরত্ব, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই ছায়া যুদ্ধের একদিকে মিশর ও অন্যদিকে তুরস্কপন্থিরা৷
মিশরের পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমি সংলগ্ন অঞ্চলের ওপারেই লিবিয়া, যা কোনোভাবেই অসুরক্ষিত রাখবেন না বলে এল-সিসি গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন৷
কেন এই ছায়াযুদ্ধ?
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই মিশরে চলছে গৃহযুদ্ধাবস্থা৷
রাজধানী ত্রিপোলিতে রয়েছে জাতিসংঘ ও তুরস্ক সমর্থিত সরকার৷ অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলিতে রয়েছে মিশর, আরব আমিরাত ও রাশিয়া সমর্থিত খালিফা হাফতার ও তার গোষ্ঠী ‘লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’ বা এলএনএ৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।