আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরে সমাধি আবিষ্কার করার কৃতিত্ব প্রত্নতাত্ত্বিকদের ক্ষেত্রে নতুন নয়। চলতি বছরের মার্চ মাসেই আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রাচীন সমাধি। সমাধির গায়ে ও ভেতরে বর্ণময় নকশাগুলো এখনও উজ্জ্বল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সেটি কার সমাধি, সেই বিষয়েও সম্ভাব্য তথ্য সামনে এনেছেন। এবার একবারে ২০টি কফিন আবিষ্কৃত হল মিশরের লুক্সোর-সংলগ্ন এলাকায়। সেই দেশের সরকারের তরফে একে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
নীলনদের পশ্চিম তীরে আবিষ্কৃত কাঠের তৈরি কফিনগুলি সুসজ্জিত অবস্থায় পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। রঙিন বিভিন্ন নকশা এখনও দৃশ্যমান কফিনগুলিতে। এগুলি ৬৬৪ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ থেকে ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রাচীন মিশরের বলেই অনুমান করছেন আবিষ্কারকরা।
তবে কিছু সমাধি যে ১৫৫০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ থেকে ১২৯২ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ, এই সময়কালের মধ্যে, সেই বিষয়েও জানা গেছে সংবাদ সূত্রে। এখনই যদিও পুরো বিষয়টি খোলসা করেননি প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
গত সপ্তাহেই মিশর সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, লুক্সোরের প্রাচীন শিল্প এলাকা আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। জিনিসপত্র মজুত রাখার উপযুক্ত বাড়ি ছাড়াও মৃতদেহ এবং বিভিন্ন আসবাবপত্রের অবশেষ পাওয়া গেছে সেখানে।
গত বছরে কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা সমাধিক্ষেত্র-সংলগ্ন এলাকা থেকে সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছিল। চোখ ধাঁধানো নকশা আঁকা সেই সমাধিগুলি নিয়ে ঐতিহাসিকমহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
চুনাপাথরের ইট দিয়ে তৈরি সমাধির দেয়ালে খোদাই করা বিভিন্ন ছবি।
সেই সমাধিটি যে উচ্চপদস্থ কোনো ব্যক্তির, সেই বিষয়েও জানিয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
এবারে পাওয়া ২০টি কফিন থেকে আরও কী কী প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য উঠে আসে, তা জানার জন্য আগামী শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আগামী শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কফিনগুলির বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।