জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মিশ্র পদ্ধতির মনিটরিং চালু হয়েছে। ভার্চুয়াল ও সরাসরি দুইভাবেই স্কুলগুলো তদারকির উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-অধিদপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা সরাসরি মনিটরিং করেন। সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা হোয়াটস্অ্যাপে শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেবেন। এসময় কতজন শিক্ষক উপস্থিত ও অনুপস্থিত আছেন, শ্রেণিকক্ষের অবস্থা, পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জানা গেছে, স্কুলে মিশ্র পদ্ধতির মনিটরিংয়ে শ্রেণিওয়ারি ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রকৃত উপস্থিতি, শিক্ষক সংখ্যা ও উপস্থিতি, শিক্ষার্থীর (শ্রেণিওয়ারি) লিখন, পঠন ও গাণিতিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। এ ছাড়াও আলাদাভাবে কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষকের ধারণা, শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যে শ্রেণিতে যে বিষয় পড়ান তা তিনি পড়েছেন বা আত্মস্থ করেছেন কিনা এবং শিক্ষকের পাঠদান দক্ষতাও যাচাই করা হবে।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানান, মিশ্র পদ্ধতির মনিটরিংয়ে শিক্ষক, শ্রেণির পাঠ্যবই যথাযথভাবে পাঠ ও অনুধাবন করেছেন কি না তা দেখা হবে। শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিকাল এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে দেখা হবে। এছাড়াও পরিদর্শনকৃত বিদ্যালয়ের সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হবে। লেসন প্লান অনুযায়ী পরিকল্পিত পাঠদান, শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক, এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম ইত্যাদি সূচকে স্কুলগুলোর মূল্যায়ন হবে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দক্ষতামানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে ৫ ক্যাটেগরিতে বিন্যাস করা হবে। সেগুলো হলো, নিম্নমান চলতিমানের নীচে, চলতিমান, ভাল এবং অসাধারণ। ছাত্রসংখ্যা, উপস্থিতি, পারস্পরিক দূরত্ব এসবের ভিত্তিতে স্কুল একীভূতকরণ কার্যক্রম এবং এক শিফটে স্কুল পরিচালনা করার বিষয়ে পরীক্ষার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিদর্শন প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করে এ বিষয়ে বিলম্বে বা অনিয়মিত বা অননুমোদিত অনুপস্থিতি এবং অদক্ষতার বিষয়ের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক নোটিশ জারি করা হবে।
সিনিয়র সচিব জানান, ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।