লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বিচি থেকে ৫৬০ ক্যালরি পাওয়া যায়। এতে বেশ ভালোই ক্ষুধা মেটে। আর সামান্য এই খাবারে পুষ্টিও অনেক। তাই নাশতা হিসেবে কুমড়ার বিচি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিতে পারেন।
প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান। ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কুমড়ার বিচি।
ছোট্ট এই খাবারেই পেট পূর্ণ থাকে অনেকক্ষণ। আর আশজাতীয় খাবার বলে হজমেও সময় লাগে। ফলে ক্ষুধা পায় না, শুধু শুধু বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন, এই বিচিটি ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা রাখে। এটির রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়োর বীজের বেশ সফলতা রয়েছে।
জার্মান একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, যেসব মহিলারা মেনোপজ অবস্থায় থাকেন তারা যদি বেশি করে মিষ্টি কুমড়োর বীজ খান তবে তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৩ শতাংশ কম থাকে। মিষ্টি কুমড়োর বীজের তেল প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।
বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়োর বীজের প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
হার্ট ভালোভাবে রক্ত পাম্প করতে সমর্থ হয়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া দাঁত ও হাড় গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
কুমড়োর বীজে ট্রিপটোফ্যান নামে অ্যামাইনো এসিড থাকে যা রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে। তাই একে প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে।
কুমড়ার বীজে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এর দুটি সুবিধা পাবেন আপনি একদিকে আপনার ওজন কমবে, অন্যদিকে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
সালাদের সঙ্গে, রান্নায় তরকারির সঙ্গে, নাস্তায় ভাজা হিসেবে এবং বিভিন্ন বেক করা খাবারের মধ্যেও কুমড়ার বিচি ব্যবহার করতে পারেন।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel