আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের ওপর কঠোর দমনপীড়ন এবং গুলি করে দুই বিক্ষোভকারীকে হত্যার পর স্থানীয় সময় রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তিনি একথা বলেন। খবর রয়টার্স’র।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে বার্মার সাধারণ মানুষ। এসব মানুষের বিরুদ্ধে যারা অন্যায়ভাবে সহিংসতা উস্কে দেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বার্মার জনগণের সঙ্গে আছি।’
এর আগে অভ্যুত্থানের সহায়তাকারী মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি হালনাগাদ করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ও। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাইলে আজকের এই নিষেধাজ্ঞা যে কেবল প্রথম; সেটা বার্মিজ সামরিক বাহিনী অচিরেই বুঝতে পারবে।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে দেশটির লাখ লাখ মানুষ সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। অভ্যুত্থানবিরোধীদের এই বিক্ষোভ দেশটির বড় বড় শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই বিক্ষোভে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু, লেখক-কবি এবং পরিবহন শ্রমিকরাও যোগ দিয়েছেন। তারা সেনাশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং অন্যান্যদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি তুলেছেন।
সর্বশেষ গত শনিবার মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে দু’জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও ২০ জন। এরপরই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অ্যান্টনি ব্লিনকেনের এই হুঁশিয়ারিকে কী মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা পাত্তা দেবেন, নাকি সাধারণ মানুষের ওপর দমনপীড়ন চলতেই থাকবে? সময়ই উত্তর দেবে এই প্রশ্নের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।