আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের কুটকাই শহরে মর্টার শেলের হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার রাজ্যের মাওয়িট গ্রামে হামলায় বেসামরিক এই পাঁচ নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতি এক প্রতিবেদনে বলছে, শান রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের কেং তুংয়ে শনিবার দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র জাতিগত তিনটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনা চলাকালীন রাজ্যের কুটকাইয়ের গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় মাওয়িট গ্রামের বাড়ি-ঘরে মর্টার শেল হামলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী ও তার পাঁচ মাসের কন্যা সন্তান, ৩৪ বছর বয়সী এক নারী ও তার ৯ এবং ১৪ বছর বয়সী এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মর্টার শেলের আঘাতে তাদের প্রাণহানির পাশাপাশি বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হয়েছে।
কুটকাইয়ের বাসিন্দা ড্য লাম নিওই বলেন, মর্টারের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও কুটকাইয়ের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর দু’জন মারা গেছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন; তাদের উদ্ধারের পর লাশিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রাণকর্মী ও কুটকাইয়ের স্থানীয় বাসিন্দা মাই মাই বলেন, শনিবার সকাল সাতটা থেকে মাওয়িট গ্রামে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া যায়। আমরা ওই সময় শিশুদের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, পরবর্তীকে আমরা শুনতে পাই গ্রামবাসীরা মারা গেছেন এবং মর্টারের আঘাতে তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে। হামলায় নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধারের পর কুটকাই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট ধরে মিয়ানমারের এই রাজ্যে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী তিনটি গোষ্ঠীর জোট নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। টিএনএলএ ছাড়াও আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই জোটের সদস্য।
প্রতিনিয়ত সেখানে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের খবর আসছে। গত সপ্তাহে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি শান রাজ্যে হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্যকে হত্যার দাবি করে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.