আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে মাঝ আকাশেই যাত্রীবাহী একটি বিমান লক্ষ্য করে বন্দুক হামলায় এক যাত্রী আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমারের কায়াহ প্রদেশের রাজধানী লোইকোতে এ ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে এ সময় ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, দূরপাল্লার মেশিনগান দিয়ে মিয়ানমারের সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থার ওই বিমানটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে একজন যাত্রী আহত হন। নিরাপদে অবতরণের পর আহত ওই যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জান্তা বাহিনীর নির্বিচারে অত্যাচার-নির্যাতন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে সামরিক বাহিনীর জনসমর্থনও। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সশস্ত্রগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যুদ্ধ করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি’র দল এনএলডির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষ বাড়তে থাকে। তারই জেরে মিয়ানমারে লড়াইয়ের তীব্রতাও বেড়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন শুরু হয়, যা পরে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে জান্তাবাহিনীর নৃশংস দমনপীড়নের মুখে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে পরিণত হয়। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত পিপলস ডিফেন্স ফোর্স- পিডিএফ। এরইমধ্যে গোষ্ঠীটি মিয়ানমারজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে এবং দিনদিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে। জাতীয় ঐক্য সরকার- এনইউজির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে এই পিডিএফ।
সু চি’র এনএলডির ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের নেতৃত্বে নির্বাসিত একটি ছায়া সরকার গঠন করে দলটি। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এরইমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অনেকটা কাবু করতে সক্ষম হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।