জুমবাংলা ডেস্ক : ছয়ের দশকে অসম প্রেমের জুটি হিসেবে চর্চায় ছিলেন ধর্মেন্দ্র আর মীনাকুমারী। তবে মীনা নাকি নিজের ইচ্ছেমতো ধর্মেন্দ্রকে চালাতেন, আর ধর্মেন্দ্রর কাছে মীনাকুমারী ছিলেন উপরে ওঠার সিঁড়ি। সেই সঙ্গেই, যুবক ধর্মেন্দ্রর পুরুষালি আকর্ষণও ছিল বয়সে অনেক বড় মীনার প্রেমে পড়ার বড় কারণ। যদিও মীনা তখন বিবাহিতা, কামাল আমরাহীর স্ত্রী। তবু মীনা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
পূর্ণিমা (১৯৬৫) থেকে বাহারোঁ কি মঞ্জিল (১৯৬৮), ৩ বছরে একাধিক ছবি করেছিল মীনা-ধর্মেন্দ্র জুটি। শোনা যায় নাকি, মীনার কথা ছাড়া নড়তেনও না ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সেই ধরমজিকেই বম্বে থেকে কলকাতা টেনে এনে ছবি করাতে পেরেছিলেন একজন বাঙালি অভিনেত্রী। তিনি সুচিত্রা সেন।
১৯৬৫ সাল। অসিত সেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে হিন্দি ছবি করছেন ‘মমতা’। তাঁর ১৯৬৩-র বাংলা ছবি ‘উত্তর ফাল্গুনী’র হিন্দি রূপ ছিল ‘মমতা’। সুচিত্রা, মা ও মেয়ের চরিত্রে একই থাকলেও হিন্দিতে বদলে যায় দুই নায়ক। বিকাশ রায়ের চরিত্রে অশোক কুমার এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে আসেন ধর্মেন্দ্র।
শুট্যিং হবে কলকাতায়। কিন্তু ধর্মেন্দ্র তখন হিন্দি ছবির ব্যস্ত নায়ক। তাঁকে কলকাতায় আনা বিশাল কঠিন ব্যাপার। এদিকে মীনাকুমারী ধর্মেন্দ্রকে কলকাতায় একা আসার জন্য ছাড়বেনও না। তাই অসিত সেন পারলেনই না ধর্মেন্দ্রকে কলকাতা আনতে। শেষে অসিত সেন দ্বারস্থ হলেন শ্রীমতী সেনের।
ধর্মেন্দ্র ছিলেন সুচিত্রার ভক্ত। তাই সুচিত্রা যখন নিজে ফোন করলেন ধর্মেন্দ্রকে, তখন ধরমজি আর রাজি না হয়ে পারলেন না। মীনার অনুমতি না নিয়েই ধর্মেন্দ্র চলে এলেন কলকাতা। এই নিয়ে মীনা মনঃক্ষুণ্ণও হন প্রেমিক ধর্মেন্দ্রর প্রতি।
নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে ‘মমতা’ ছবির শ্যুট করতে আসেন ধর্মেন্দ্র। তখনই বয়সে বড় সুচিত্রার রূপে পাগল হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। তবে সুচিত্রা যে একজন মহাতারকা, তা স্বীকার করে নেন তিনি। হিন্দি ছবি হলেও সুচিত্রা সেন কিন্তু বম্বে যাননি। অশোক কুমার থেকে ধর্মেন্দ্র, দুই তারকা নায়ক কলকাতা আসেন সুচিত্রার জন্য। এখানেই মহানায়িকার দাপট।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, মীনাকুমারী বাংলা ছবি কখনও করেননি। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর টানে কলকাতা চলে এসেছিলেন মীনা নিজেও। নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে মীনাকুমারী মুখোমুখি হন বাংলা ছবির প্রথমা নায়িকার। সুচিত্রা সেন আর মীনাকুমারী হাসিমুখে আলিঙ্গন করেন দু’জনকে। ধর্মেন্দ্রকে মাঝে বসিয়ে ফটোসেশনও করেন দুই নায়িকা।
যদিও ‘উত্তর ফাল্গুনী’র মতো ধারেভারে কালজয়ী ছবি হয়নি ‘মমতা’। কিন্তু ‘মমতা’র প্রতিটি গান অবশ্যই কালজয়ী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।