জুমবাংলা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য এম আব্দুর রহিমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০১৬ সালের এই দিনে (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৮৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ বীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কয়েক দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ বুধবার সকালে দিনাজপুরের জালালপুরে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
বৃহস্পতিবার বিএমএ, সন্ধানী, মেডিসিন ক্লাব আয়োজিত বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রপ্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্য
চিত্র প্রদর্শনী।
শুক্রবারে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা এবং দিনাজপুর প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষা ও সেমিনার। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় দিনাজপুর ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এম আব্দুর রহিম ছাত্রাবস্থায় রাজশাহী কলেজে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে ১১টি বেসামরিক জোন করেছিল এম আব্দুর রহিম ছিলেন পশ্চিম জোনের জোনাল চেয়ারম্যান। তার এক ছেলে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও আরেক ছেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।