আজ সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি নাম, যার অসামান্য নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে তাদের বীর সেনানীকে।
১৯১৮ সালের এই দিনে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এম. এ. জি. ওসমানী। তাঁর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান এবং মা জোবেদা খাতুন। শৈশব থেকেই তিনি মেধা ও শৃঙ্খলার পরিচয় দেন।
ব্রিটিশ ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে তিনি তাঁর সামরিক দক্ষতা ও সাহসিকতার প্রমাণ রাখেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি বাঙালি অফিসারদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
১৯৭১ সালের উত্তাল দিনগুলোতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওসমানীকে এর নেতৃত্বের জন্য আহ্বান জানানো হয়।মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তাঁকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বা প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
তাঁরই সুযোগ্য দিকনির্দেশনা ও রণকৌশলে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে একটি প্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম জেনারেল পদে উন্নীত হন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং দেশের জাহাজ, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।