আসলে মুখস্থ করা আর মনে রাখার মধ্যে একটা বড় পার্থক্য আছে। সেটা হলো কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না নিয়ে শুধু আক্ষরিকভাবে মনে রাখা হলো মুখস্থ। এতে হয়তো পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তব জীবনে খুব কাজে লাগে না। বুঝে ও পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে শিখলে সেটা মনে রাখা সহজ। এটাই আসল শিক্ষা।
একবার মস্কোর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন, তোমরা পড়া মুখস্থ করবে না, অর্থ বুঝে শুধু কয়েকবার পড়বে। আর মনে রাখবে ওই বিষয় সম্পর্কে বিস্তৃত জানার সূত্র কী। কোন বইয়ে বিষয়টি আছে বা কোন ব্যক্তি বিষয়টা ভালো জানেন। তাহলে ছোটখাটো বাক্য, ঘটনা প্রভৃতির ভিড়ে মস্তিষ্ক অন্য সব তথ্য হারিয়ে ফেলবে না। এটা অবশ্য ঠিক। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই পদ্ধতি কাজ দেয় বিশেষভাবে কোনো বিষয়ে লেখালেখি বা গবেষণায়।
কিন্তু প্রতিদিনের পড়া মনে রাখার উপায় হলো মনোযোগ দিয়ে ও তাৎপর্য বুঝে কয়েকবার পড়া। এরপর সকালের পড়া সন্ধ্যায় একবার লেখার চেষ্টা করা। তখন বোঝা যাবে কোন জায়গা মনে থাকছে না। সেটা আবার বুঝে নিয়ে দু–একবার পড়ে নিতে হবে। এরপর সহপাঠী বন্ধুদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
একজন বন্ধুকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতে পারছি কি না, সেটা দেখতে হবে। যখন আমার পড়া বিষয়টি বন্ধুকে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলতে পারব, তখনই সেটা শেখা হলো। তাই মুখস্থ না করে শেখার কৌশল হলো অর্থ ও তাৎপর্য বুঝে পড়া, এরপর সকালের পড়া সন্ধ্যায় লেখা। পরদিন আবার আড্ডার আসরে সেই পড়ার বিষয়টি বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করা।
এই পদ্ধতি একটা নিয়মিত চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আরেকটি কৌশল হলো, কোনো স্থান বা ব্যক্তির নাম মনে রাখার জন্য সেই নামের সঙ্গে যেসব শব্দ বা নাম আমরা সব ব্যবহার করি বা মনে রাখি, তার সঙ্গে সম্পর্ক সূত্র প্রতিষ্ঠা করা। এর ফলে মস্তিষ্ক চট করে সেই সম্পর্ক সূত্র সমন্বয় করে কোনো স্থান, কারও নাম বা অন্যান্য বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।