গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: বাম পাশের চোখ ও মুখের উপর থেকে ঝুলে পড়ছে রিপন সাহা নামে এক যুবকের। এরপরও জীবন যুদ্ধে থেমে থাকেননি। অসচ্ছল পরিবারের পাশে বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে নিজেই প্রতিদিন পটুয়াখালীর লঞ্চ ঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন তিনি।
রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের মহাদেব সাহার ছেলে রিপন বিরল রোগে আক্রান্ত। ছোট্ট শিশুরা রিপনকে দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায় আর বড়রা তার এই রোগ নিয়ে অনেকে হাসি ঠাট্টা করে।
জন্মের দুই বছর পর রিপনের কানের উপরে ছোট একটি গোটার মতো ছিল। পরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন উপর থেকে মাংস ঝুলে পড়ছে। এ মধ্য দিয়ে তিনি এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। দুই বছর আগে চিকিৎসকের কাছে গেলে জানানো হয় এটি ঠিক হবে তবে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা থেমে আছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকার বা সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন অসহায় রিপন।
রিপনের মা বলেন, ডাক্তার বলছে তার চিকিৎসা করলেই সে সুস্থ হয়ে যাবে। চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। গরিব পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব না। তাই ছেলের এমন পরিণতি মেনে নিয়েছেন তারা।
ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিপু হাওলাদার জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত রিপনকে পরিষদের পক্ষ থেকে সামান্য সহযোগিতা করা হয়েছে। তার পাশে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।