বিনোদন ডেস্ক : এক ফ্রেমে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আর গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। এই ছবিই এখন ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। তাহলে ‘প্রাইভেট কমিউনিস্ট’ ও মমতা ঘনিষ্ঠ নচিকেতার কি বিজেপি’র সঙ্গে কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? ভোটের আগে যখন শিল্পীদের দলীয় রাজনীতিতে নাম লেখানো নিত্য ঘটনা হয়ে পড়েছে, তখন নচিকেতা-দিলীপের ছবি জন্ম দিয়েছে এই নতুন জল্পনার।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বাংলা আধুনিক গানে ১৯৯০ উত্তরকালে সুমনের পরপরই যে বর্ণময় চরিত্রের নাম আসে, তিনি নচিকেতা। একসময় লিখেছিলেন, ‘তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনও গুজরাট হয়ে যায়নি’। গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর কলমে-রাস্তায় সরব হয়েছিলেন তিনি।
তার আগে বাম আমলে মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন নচিকেতা। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বাম বিরোধী বিদ্বজ্জনদের কর্মসূচিতে তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরও নচিকেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাছের লোক’ বলেই পরিচিত ছিলেন। সেই নচিকেতাকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
গায়ক জানাচ্ছেন, তিনি যাননি; দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন তার সঙ্গে দেখা করতে। বলেন, ‘আমি একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সেখানে অনেকেই ছিলেন। হঠাৎ দেখি দিলীপ ঘোষ আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। তিনি আমার গান পছন্দ করেন। তার রাজনৈতিক আদর্শে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু তাতে কী সব শেষ হয়ে গেল?
‘তার সঙ্গে আমার রাজনীতি নিয়ে কোন কথা হয়নি। কারণ আমার কোন দল নেই, আমার কোন রং নেই। আমি প্রাইভেট কমিউনিস্ট। উনি আমার গান ভালবাসেন সেই সূত্রেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।