জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যার ঘটনায় চাউর হয়েছে সারাদেশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা আর অবিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে আবরার হ’ত্যাকাণ্ডের পর থেকে।
এই ঘটনার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোষ্ট করেন। সেথানে তিনি লিখেছেন, ‘এরকম যেন আর না হয়। দোষীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করতে হবে।
এক মায়ের কমেন্ট উল্লেখ করে সোহেল তাজ লিখেন, আমরা মা গুলো প্রচন্ড অসহায়। একটা ছেলের পেছনে কতগুলো শ্রম দিলে, ছেলেটা এ অবস্থানে আসে -সেটা একজন মা ‘ই জানেন। সেই ছেলের এই পরিনতি -মানা যাচ্ছে না। বাস্তবসম্মত বিচার চাই। আজ যেন কেউ পার না পায়। দলমত নির্বিশেষে এর বিহিত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে তার নিথর দেহ পাওয়া যায় হলের সিঁড়ির নিচে। তার পুরো শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। সহপাঠীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন আবরারকে।
এ ঘটনায় আজ গ্রেফতার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১০ নেতাকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
আবরার হ’ত্যার ঘটনায় পুলিশ যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন— মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখ খারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।