জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের সাথে রবার্ট মুগাবের নাম অনেকদিন লেখা থাকবে। বলা হয়ে থাকে তিনি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছেন। অথচ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট সব সময় অনেক সম্ভাবনাময় ছিল। ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল। জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের তোপে ১২৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের সকল ব্যাটসম্যান।
১৯৯৭ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে তারা সোনালী সময় পার করেছে। ওই সময় সকল দলকে তারা চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হয়েছিল। ২০০৩ সালে মুগাবের অধীনে জিম্বাবুয়ে কঠোর শাসন প্রত্যক্ষ করে।
জিম্বাবুয়ের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা ২০০৩ বিশ্বকাপে কালো আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নেমেছিল। এজন্য মুগাবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের উপরে চড়াও হোন এবং ক্ষুব্ধ হন। প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বরখাস্ত করার ঘটনাও ঘটেছে।
ওই সময় জাতীয় দলের ১৪ খেলোয়াড় বোর্ড থেকে বের হয়ে যান। দ্বিতীয় সারির জিম্বাবুয়ে দল তখন থেকে দলের হাল ধরে। এমনকি ওই সময় খেলোয়াড়েরা ধর্মঘট পর্যন্ত করতে বাধ্য হন। রবার্ট মুগাবের সময়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট এভাবেই অনেক অরাজগতার মধ্য দিয়ে গেছে।
ওই সময়ে রাজনীতি এবং ক্রিকেটার মধ্যে তেমন পার্থক্য ছিল না। তখন তাতেন্দা তাইয়েবু ও তার স্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তাদের প্রাননাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় অনেক অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য ক্রিকেটকে দূরে সরানো হয়েছিল।
২০০৩ বিশ্বকাপের খেলা মাত্র চারজন ক্রিকেটার পরবর্তী সময়ে খেলা চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তার সময় অর্থনীতি ধ্বসে যায় এবং তার প্রভাব পড়ে ক্রিকেটের উপরে। সোনালী সময়ের পর থেকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।