জুমবাংলা ডেস্ক : কেউ কখনও ভাবেওনি মুরগির কেজি ৪৫ টাকায় নেমে আসবে। এত লোকসানে মুরগি বিক্রি করতে হবে জানলে এ বছর খামারিরা ব্যবসাটাই ছেড়ে দিতো। এ আক্ষেপ নেত্রকোনার কৈলাটী গ্রামের খামারি শওকত আহম্মেদ শামীমের।
নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দেশের অধিকাংশ হাটবাজার। জনসমাগম বন্ধে তত্পর প্রশাসনও। এ অবস্থায় ক্রেতা সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন নেত্রকোনার পোলটি খামারিরা। লোকসান ঠেকাতে মাত্র ৪৫ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। যদিও এক কেজি আকারের একটি পোলট্রি মুরগি উৎপাদনে খরচ হয় ৮০-৯০ টাকা।
পোলট্রি শিল্পের জন্য বিখ্যাত নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা। এ এলাকার অধিকাংশ মানুষই পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার প্রায় ৪০০ খামারি।
একই ধরনের আক্ষেপ গুমুরিয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের আর বারহাট্টার সুলতানের। তাদের অনেকেই এই দুঃসময় কাটিয়ে ফের পুঁজি নিয়ে সুদিনে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন। কিংবা কেউ কেউ ইতোমধ্যেই নি:স্ব হয়ে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে গেছে, জেলার বারহাট্টা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে ১০-১২ বছর আগে ব্যক্তি পর্যায়ে পোলট্রি ব্যবসা শুরু হয়। শুরুতে একটু কষ্ট হলেও পরে তাদের ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ব্যবসায় ধস নেমেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ঘোষণা দেয়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধের মতো। এতে খামারিরা বাইরে থেকে মুরগির খাবার আনতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করে খাবার আনলেও দাম দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। খাবারের অভাবে উৎপাদনও কম এবং অনেক খামারের মুরগিও মারা যাচ্ছে।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক কেজি আকারের একটি মুরগি উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কিন্তু বাজার ভালো না থাকায় বর্তমানে বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তাও বিক্রি করা যায় না। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক খামারি পথে বসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।