সম্প্রতি বিতর্কিত বক্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছেন। সম্বোধন ও আবেদনকারীর নাম-পরিচয় অংশ ছাড়া আবেদনপত্রটি মোট সাত লাইনের। তাতে পদত্যাগের মূল আবেদনপত্রে একটি বাক্যসহ ভুল আছে অন্তত ১২টি শব্দে।
আবেদনপত্রের প্রথম ভুলটি হচ্ছে ‘তেঁজগাও’ (তেজগাঁও)। একটি জায়গায় বাহুল্য হিসেবে ‘হতে’ ব্যবহার করেছেন তিনি। যেমন ‘আমি অদ্য ০৭.১২.২০২১ খ্রি: তারিখ হতে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব ‘হতে’ ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’ সম্বোধন করা আবেদনপত্রের প্রথম বাক্যটি ‘স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নিবেন’। ‘নিবেন’-এর পর তিনি কমা ব্যবহার করেছেন, যেখানে বাক্য শেষ হওয়ায় দাঁড়ি ব্যবহৃত হবে। আর বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘স্ব-শ্রদ্ধেয়’ সালামের অস্তিত্ব বাংলা ভাষায় নেই।
আবেদনপত্রে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার তারিখটিও মুরাদ ভুল উল্লেখ করেছেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৯ মে নিয়োগ পেয়েছিলেন। অথচ আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন ২০২১ সালের ১৯ মে। আবেদনপত্রে খ্রিষ্টাব্দ বোঝাতে সংক্ষেপে ‘খ্রি:’-এর ব্যবহার হয়েছে তিন বার। অথচ বাংলা একাডেমির নিয়ম বলছে, সংক্ষেপে খ্রিষ্টাব্দ লিখতে খ্রি-এর পর শুধু একটা ফুলস্টপ (খ্রি.)।
আবেদনপত্রের দ্বিতীয় অংশে লেখা, ‘এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ০৭.১২.২১ খ্রি: হতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে অব্যহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।’
এই লাইনে ভুল বানান দুটি। অব্যাহতির বদলে লেখা হয়েছে ‘অব্যহতি’। পদত্যাগপত্রটির বদলে ভেঙে লেখা হয়েছে ‘পদত্যাগ পত্রটি’। এমনকি বাক্য হিসেবেও সম্পূর্ণ হয়নি এটি। বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্টদের মতে, ‘আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি’র বদলে হবে ‘আপনার যেন একান্ত মর্জি হয়’।
এমনকি, পদত্যাগকারী প্রতিমন্ত্রীর নাম লিখেছেন ‘মোঃ মুরাদ হাসান’। বানানরীতি অনুযায়ী, এটিও ভুল (মো. মুরাদ হাসান)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।