আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য শুরু থেকেই মুসলিমরা দায়ী। আর এ জন্য মুসলমানদের চিকিৎসা না দিয়ে পেটানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এক চিকিৎসক। উত্তর প্রদেশের কানপুরের গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজের ওই অধ্যক্ষের নাম আরতি লাল চন্দানি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আরতি লাল চন্দানি বলছেন, ‘মুসলিমরা জঙ্গি, তাদের চিকিৎসা করাই উচিত নয়। বরং তাদের পিটিয়ে অন্ধকার কুটিরে ভরে রাখা দরকার। সরকার তাদের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করছে, তা অপ্রয়োজনীয়।’
ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘ মুসলিমদের জন্য টেস্টিং কিট, চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট করাটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কারণ ওরা জঙ্গি, ওদের চিকিৎসা না করে পেটানো উচিৎ। কোয়ারেন্টিন সেন্টার নয়, বরং মুসলিমদের জায়গা হওয়া উচিত অন্ধকার কুঠুরিতে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিমদের শরীরে কোনো ওষুধ পুশ করে মেরে ফেলার ব্যাপারেও কোনো আপত্তি নেই আরতি লাল চন্দানির। বরং ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ‘মুসলিমদের এত যত্ন করে চিকিৎসা করিয়ে আসলে সংখ্যালঘুদের তোষণ করছে বিজেপি সরকার। ভারতের সঞ্চয় যে কীভাবে নষ্ট হচ্ছে এটা তারই উদাহরণ।’ বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে নিজে জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন আরতি।
চিকিৎসকের এই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক ভাইরাল হয়। একজন চিকিৎসকের মুখে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুনে বিস্ময় প্রকাশের পাশাপাশি সমালোচনাও করছেন অনেকে। অনেকে বলছেন, তিনি আসলে নামেই করোনাযোদ্ধা। গোটা দেশ যেখানে করোনাযোদ্ধাদের সম্মানের চোখে দেখছে। তখন তিনি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। তার এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়।যা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।