আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পোশাক সহ অন্যান্য নিয়ম নিয়ে নতুন আইন তৈরি করা হল তাজিকিস্তানে। আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা ওই দেশ মুসলিম অধ্যুষিত হলেও এবার থেকে আর সেখানে পরা যাবে না হিজাব। সে দেশের এমপিরা এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পোশাক নিয়ে আরও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইদের দিন যাতে শিশুরা রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপন না করে, সেই বিষয়েও বার্তা দেয়া হয়েছে নতুন আইনে।
মধ্য এশিয়ার দেশ এই তাজিকিস্তান। সেখানে হিজাবের মতো পোশাককে ‘এলিয়েন গার্মেন্ট’ বা বিদেশি পোশাক বলে অভিহিত করা হয়েছে। সংসদের নিম্নকক্ষে আগেই পাশ হয়েছিল বিল, পরেও উচ্চকক্ষও তাতে সম্মতি দেয়।
গত ৮ মে লোয়ার চেম্বারে (নামোয়াংডাগন) বিল পাশ হয়। সেখানে মূলত হিজাব ও ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছিল। তাজিক সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুরক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে। সে দেশের সংস্কৃতি, শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকার কথাও বলা হয়েছে আইনে।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রাচ্য থেকে হিজাব পাঠানো হয় তাজিকিস্তানে। এর সঙ্গে চরমপন্থীদের যোগ খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। যদিও এই আইন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এই আইন না মানলে অর্থাৎ হিজাব বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ পোশাক পরে শাস্তি হিসেবে দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। তাজিক মুদ্রায় (সোমোনি) ৭,৯২০ টাকা থেকে ৩৯,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের ও ধর্মগুরুদের ক্ষেত্রে জরিমানা হতে পারে আরও বেশি। আইন ভাঙলে ৫৪,০০০ থেকে ৫৭,৬০০ সোমোনি জরিমানা দিতে হবে।
হিজাব ও লম্বা দাড়ি নিয়ে আগেও ছিল নিষেধাজ্ঞা। এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। তাজিকিস্তান সে দেশের জাতীয় পোশাক পরার ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।