লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাছে ভাতে বাঙালির মাছ মাংস ছাড়া খাওয়া জমে না। তবে বছরের নির্দিষ্ট কিছু দিনে নিরামিষ খাওয়ার রীতি রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ ডাল প্রায় সব বাড়িতেই কমে বেশি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে। ডালের অনেক সুস্বাদু পদের মধ্যে অন্যতম হল আলু দিয়ে মুসুর ডাল। মাছ মাংসের পরিবর্তে এইভাবে ডাল রান্না করলে সব বয়সের মানুষই নিঃসন্দেহে পছন্দ করবেন।
উপকরণ :
১. মুসুর ডাল
২. আলু
৩. সয়াবিন তেল
৪. পেয়াঁজ
৫. টমেটো
৬. লাল লঙ্কার গুঁড়ো
৭. ভাজা জিরে গুঁড়ো
৮. হলুদের গুঁড়ো
৯. রসুন কুচি
১০. শুকনো লঙ্কা
১১. ধনেপাতা
প্রণালী :
রান্নার শুরু করার আগে একটি পাত্রে ১ কাপ মুসুর ডালকে ভাল করে ধুয়ে রাখতে হবে। ৩টি মাঝারি আকারের আলুকে সরু করে কেটে নিতে হবে।
একটি ফ্রাইং প্যানে ৩ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল গরম করে এর মধ্যে ৩টি মাঝারি আকারের পেয়াঁজকে কুচিয়ে দিয়ে দিতে হবে। পেয়াঁজ হালকা ভাজা হয়ে গেলে একটি টমেটো কেটে দিয়ে দিতে হবে। স্বাদমত লবণ দিয়ে টমেটোকে নরম হয়ে না আসা পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে।
টমেটো ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিতে হবে ১ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো, হাফ চামচ ভাজা জিরে গুঁড়ো ও ১/৪ চামচ হলুদের গুঁড়ো। সমস্ত মশলাগুলিকে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
মশলা কষে গেলে এর মধ্যে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা মুসুর ডাল দিয়ে দিতে হবে। মুসুর ডাল মশলার সাথে ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ সময় ধরে রান্না করতে হবে। এইসময় অল্প একটু জল দিতে হবে।
ডালের সাথে মশলা ভাল করে মিশে গেলে কুচিয়ে রাখা আলু দিয়ে দিতে হবে। সমস্ত উপকরণকে মিশিয়ে নিয়ে কড়াইয়ের ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে ২০ মিনিটের জন্য। এর পরে কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে ২ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। আলু সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত কড়াইয়ের ঢাকনা আবার বন্ধ করে রাখতে হবে। আলু ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে।
অন্য একটি কড়াইতে ২ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল গরম করে এর মধ্যে ২ টেবিল চামচ রসুন কুচি, ১ চা চামচ গোটা জিরে, হাফ চামচ গোটা সর্ষে এবং ৪ টি শুকনো লঙ্কা দিতে হবে।
সমস্ত কিছুকে হালকা ভেজে নিয়ে অন্য একটি কড়াইতে রাখা ডালের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে দিয়ে দিতে হবে সামান্য ধনেপাতা কুচি। এইভাবে তৈরী হয়ে যাবে আলু দিয়ে মুসুর ডালের এই পদটি। ভাত কিংবা রুটির সাথে খাওয়া যাবে এই অসাধারণ পদটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।