স্পোর্টস ডেস্ক : বিরতি দিয়ে ব্যাটে রান আসছে সৌম্য সরকার-লিটন দাসদের। মুশফিক-তামিমও ভালোই খেলছেন। ব্যাটিংয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ উজ্জ্বল ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিঠুন। বোলিংয়ে আবার রুবেল হোসেন, মেহেদি রানা কিংবা এবাদত হোসেনরা ভালো করছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএলের আক্ষেপের নাম হয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও ঝলক দেখা যায়নি তার। মুস্তাফিজ ভালো না করার হয়তো তার দল রংপুর রেঞ্জার্সও ধুঁকছে। পয়েন্ট টেবিলে পড়ে গেছে নিচে। তাদের দলের সেরা তারকা বলতে মোহাম্মদ নবী-মুস্তাফিজই। তবে বিপিএলের তৃতীয় পর্বে এসে সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ঝলক দেখালেন ফিজ।
পুরনো সেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। ঢাকায় একদিন বিরতি দিয়ে হওয়া ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনটি। তার বোলিং দেখে মনে হয়েছে ২০১৫ সালের সেই মুস্তাফিজ। বলে ডট দেওয়া, ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা এবং আউট হতে বাধ্য করা সেই মুস্তাফিজ। বাঁ-হাতি এই কাটার মাস্টার ২৪ বলের মধ্যে ডট বলই দিয়েছেন ১৯টি। বাউন্ডারি খেয়েছেন মাত্র একটি। তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন-সোহাগ গাজীকে।
তার বোলিং তোপে সিলেট থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানে। রংপুরের হয়ে আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবী এবং জর্জ গ্রেগরি একটি করে উইকেট নিয়েছেন। মুকিদুল এবং নবী অবশ্য খরুচে বোলিং করেন। সিলেটের হয়ে কেবল মোহাম্মদ মিঠুন ভালো খেলেন। তিনি ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। সিলেটের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন রুদারফোর্ড।