জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ইউনিয়নের তাঁরাবাড়ির উগ্রতাঁরা মন্দিরের মূর্তির শরীর থেকে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে আটককৃতরা হচ্ছে- পরিমল মাঝি, তার ভাই সঞ্জয় মাঝি, গোপাল গাইন ও রনজিৎ দাস। এর সকলেই উজিরপুরের বাসিন্দা।
মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি দেবাশিষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক অমল দাস গুপ্ত জানান, সোমবার সকালে সেবায়েত গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী মন্দিরের একটি দরজা খোলা দেখতে পান। এরপর ভিতরে ঢুকে তাঁরা মূর্তির শরীরে পরিহিত স্বর্ণালংকার দেখতে না পেয়ে স্থানীয়দের অবহিত করেন। মূর্তির শরীরে ৩০ ভরি স্বর্ণ ছিল। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
তারা আরো জানান, মন্দিরের একটি দরজার তালা খোলা ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ওই দরজার তালা খুলে সেখান থেকে মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তির শরীরে থাকা ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মন্দিরের চারদিকে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত এবং ভিতরেও দুটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। দুর্বৃত্তরা বাহিরের সিসি ক্যামেরাগুলো ঘুড়িয়ে ফেললেও ভিতরের ক্যামেরাগুলো সঠিক স্থানে থাকায় স্বর্ণ চুরির ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে দাবি করেন তারা।
সেবায়েত গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী জানান, রোববার রাতে দেবীর পূজা দিয়ে মন্দিরের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে বাড়ি যান। সোমবার সকালে গেট খুলে দেবীর সোনার মুকুটসহ শরীরের অলংকার দেখেননি। এমনকি মন্দিরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকলেও সেগুলো উল্টানো ছিল। তার ধারণা রোববার রাতের যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা ওই মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তির স্বর্ণ চুরি করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে। স্বর্ণ উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রাচীন এই মন্দিরটি ২০১৬ সালে বরিশালের বিশিষ্ট চিকিৎসক পিযুষ কান্তি দাস এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারের আর্থিক সহায়তায় পুনর্নির্মাণ করা হয়। ওই বছরই তারা মূর্তির শরীরে ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার পড়ানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।