ব্যবসায়ী নেতারা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তারা মনে করে যে, এটি বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান কমে যাবে। অন্যদিকে নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার কমানো হবে এ ধরনের আশা ছিল তাদের।
সেটি না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন তারা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে বলে মনে করে ব্যবসায়ী নেতারা। মূল্যস্ফীতি না কমে যাওয়ার দরুন স্বল্প আয়ের ব্যক্তি-বর্গের ক্রয় করার সামর্থ্য হ্রাস পেয়েছে।
তার ওপর সরকার ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে । এতে করে জীবনযাত্রার ব্যয় আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়ার দরুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। বিশ্লেষকরা মনে করে যে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
গবেষণা সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘মূল ফোকাসটা এখন মূল্যস্ফীতিতে আছে, এটা যদি জরুরি ভিত্তিতে না কমে তাহলে হয়ত নীতিহার কমবে না। এর ওপর নির্ভর করে আমার ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহ কোথায় যাবে সেটা হয়ত স্থির করা হবে। সুতরাং এখনকার প্রবৃদ্ধি সামনে বাড়বে কিনা সেটা নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ আছে।’
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমলেও, বেড়ে যাবে সুদের হার ও উৎপাদন খরচ। বেসরকারি খাতে অর্থের প্রবাহ কমলে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘প্রতিটি খাদ্যপণ্য আমদানিনির্ভর, এখানে যদি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ফলো করেন তাহলে কিন্তু আমি মনে করি সমস্যা কমার চেয়ে, বাড়বে। বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, সমস্যাটা হলো যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কি দাঁড়ায়? কর্মসংস্থান হচ্ছে না।’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন, জোগান ও সরবরাহে জোরের পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এছাড়া, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।