জুমবাংলা ডেস্ক : এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আসন্ন মুদ্রানীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন যা মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করে।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক তিনবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে বাজারে এর তেমন ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। তাই চলতি মাসের শেষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে, তবে এতে নীতি সুদহার আর বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। যদিও বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আগের দফায় সুদহার বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তবুও এর প্রভাব তেমন লক্ষণীয় হয়নি।
নতুন মুদ্রানীতির লক্ষ্য শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনা। কিন্তু গত ছয় মাসে কাঙ্ক্ষিত বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া যায়নি, যা বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।
মুদ্রানীতির মাধ্যমে অর্থের সরবরাহ, বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল এবং টেকসই করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদহার বাড়ানো উচিত নয়, কারণ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উৎপাদন এবং বিনিয়োগে। সুতরাং, মুদ্রানীতিতে সুদহার বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর প্রথমবারের মতো এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। তিনি গত ছয় মাসে কিছু পরিবর্তন এনেছেন, যেমন ডলারের মূল্য নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি।
আগামী মুদ্রানীতি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুদ্রানীতিতে সঠিক নীতিমালা গ্রহণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা শুধু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে না, বরং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এবারের মুদ্রানীতির ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা পরবর্তী সময়েই দেখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।