জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে এলে নীতি সুদহার (পলিসি রেট) কমিয়ে আনা হবে বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার কখন কমানো হবে তা জানতে চায় প্রতিনিধিদলটি। জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
মুখপাত্র বলেন, ‘গভর্নরের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিধিদলটিও বলেছে, আমাদের সংস্থারও প্রজেকশন রয়েছে যে চলতি বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮.২ শতাংশে নেমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিনিধিদলটি দেশের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’
মুখপাত্র বলেন, প্রতিনিধিদলটি আজ বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক বিভাগের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছে। এর মধ্যে একটি বৈঠকে দেশের ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
‘আইএমএফের প্রতিনিধিদল দেশের ১২টি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে গভর্নরের কাছে জানতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর জানান যে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ায় বর্তমানে মাত্র পাঁচটি ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোয় মোটামুটি সংকট কেটে গেছে’, যোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র আরও বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে, সেটিও জানতে চায় প্রতিনিধিদল। জবাবে গভর্নর জানান, ডিমান্ড প্রমিজরি নোটের (প্রতিশ্রুতিপত্র) মাধ্যমে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিনিধিদলটি এ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
তিনি বলেন, আইএমএফ দল গভর্নরের কাছে জানতে চেয়েছে, যেসব ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে তাদের লোন দেওয়া বন্ধ রয়েছে কি না। জবাবে গভর্নর বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে পুরোপুরি লোন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন রিফাইনেন্স স্কিমের আওতায় তারা তারল্য সুবিধা নিয়ে ছোট ছোট ঋণ অর্থাৎ এসএমই ও কৃষি ঋণ দিচ্ছে।
মুখপাত্র জানান, আজকের বৈঠকে গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দল ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ, রিজার্ভ ও বিনিময় হার নিয়ে আলোচনা করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।