জুমবাংলা ডেস্ক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ৪০ বছর আগে মামলা করেছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। সেই মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও পক্ষভুক্ত করা হয়নি দুর্নীতি দমন কমিশনকে। যার কারণে ৩৪ বছর অনিষ্পন্ন ছিল আপিল। এই দীর্ঘ সময়ে আপিল অনিষ্পন্ন থাকলেও মারা গেছেন আপিলকারী সেই চেয়ারম্যান ।
উক্ত আপিলের শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার আপিল মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।
রাজশাহীর চারঘাটের ১ নম্বর বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুস সোবহান। তিনটি হাট লিজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ১৯৮২ সালের ৯ জুন চারঘাট থানায় মামলা করে। মামলায় সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলায় ঐ বছরের ১০ নভেম্বর চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা।
১৯৮৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত সোবহানকে পাঁচ বছরের জেল ও ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেয়। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডিত চেয়ারম্যান। আপিলে সাজার রায় বাতিল চাওয়া হয়।
আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ১৬ জুন মারা যান তিনি। কিন্তু আপিলে দুদককে পক্ষভুক্ত না করায় ৩৪ বছর তা পড়ে ছিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়। পরে দুদক পক্ষভুক্ত হয়ে এই মামলার শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানি শেষে গতকাল সোবহানের আপিল মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি)। সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।