আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাত বছরের মেয়ে না-ইয়োনকে ডেকে চলছেন তার মা জাং জি-সাং। হঠাৎ করে কাঠের স্তুপের পেছন থেকে দৌড়ে মায়ের কাছে এলো ছোট্ট ইয়োন।
খানিকটা অভিমানের সুরেই মায়ের কাছে ইয়োন জানতে চাইল-‘মা, কোথায় ছিলে তুমি এতোদিন? তুমি কি আমার কথা ভাবতে?’
মেয়েকে অনেক দিন পর দেখতে পেয়ে ফুপিয়ে কাঁদছিলেন জাং জি। কাঁদতে কাঁদতে বললেন- ‘সবসময়রে মা।’
মেয়ের আরো কাছে… আরো কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন জাং জি। একটিবার একটু ছুঁতে চাইছেন…কিন্তু পারছেন না।
বুকভাঙ্গা কান্না নিয়ে জাং জি বলছেন-‘মারে একটিবার… একটিবার তোকে স্পর্শ করতে চাই।’
ইয়োন মারা গেছে তিন বছর আগে। মৃত মেয়ের সঙ্গে মায়ের এই কথোপকথন স্বপ্পে হয় নি। বাস্তুবেই হয়েছে…তবে সেটা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে।
চোখে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গগলস পরে মেয়ের সঙ্গে এভাবে দেখা করে কিছুটা সান্তনা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাং জি।
আবেগঘন এই পুর্নমিলনটি গত সপ্তাহে একটি প্রামাণ্য চিত্র হিসেবে প্রচার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসি। মায়ের স্মৃতি, মারা যাওয়া শিশুটির ছবি ব্যবহার করে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য শিশুটির প্রতিটি পদক্ষেপ ধারণ করার জন্য এক শিশু অভিনেত্রীকেও ব্যবহার করা হয়েছে।
‘মিটিং ইউ’ শিরোণামের এই প্রামাণ্য চিত্রটি ইতোমধ্যে বহু দক্ষিণ কোরীয়কে নাড়া দিয়েছে। গেমিং কিংবা সিনেমা ছাড়াও যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় প্রামাণ্য চিত্রটি তারই উদহারণ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে মা-মেয়ের এই মিলনের জন্য কাজ করেছিলেন সিউলভিত্তিক ভাইভ স্টুডিওর পরিচালক লি হাইউন-সাক।
তিনি বলেন, ‘মানুষ প্রায়ই ভাবে প্রযুক্তি হচ্ছে নিরস একটি বিষয়। আমরা চেষ্টা করেছি এটি মানুষের জন্য ব্যবহার করে কারো হৃদয়কে স্বস্তি ও তৃপ্তি দেওয়ার।’
ভিডিও :
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।